পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও বাড়ানোর দুটি বিতর্কিত বিলে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ (টুইটার হিসাবে পরিচিত) রোববার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি বিল ২টি স্বাক্ষর না করে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু অধীনস্থরা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এ ২ আইনে সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পরিচয় প্রকাশকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীকে অবমাননার জন্য কারাদণ্ডের বিধান চালু করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রেসিডেন্ট আলভির ওই অস্বীকৃতি আইন ২টির বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন আইনমন্ত্রী আহমেদ ইরফান আসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের কাছে বিলে সম্মতি দেওয়া কিংবা সুনির্দিষ্ট মন্তব্যসহ বিলগুলোকে পার্লামেন্টের কাছে পাঠানোর বিকল্প পথ ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আলভি এই বিকল্প পথের কোনওটিই না নিয়ে ইচ্ছে করেই বিলে সম্মতি দিতে দেরি করেন এবং সম্মতি বা সুনির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য ছাড়াই বিলগুলো ফেরত পাঠান। আসলাম জানান, প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, যেহেতু ১০ দিন পরও প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সই করা বিল পাওয়া যায়নি, তাই এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনের রূপান্তরিত হয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্টের সই ছাড়াই নতুন হওয়া এ দুটি আইন হচ্ছে, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল–২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল–২০২৩। পাকিস্তানে গত ৯ অগাস্টে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে আলভির কাছে পাঠানো হয়েছিল এই দুই বিতর্কিত বিল।