চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিরুদ্ধে নগরের আরো একটি খালের দুটি পয়েন্টে ব্রিজ নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটি ও ব্রিজের শার্টার অপসারণ না করার অভিযোগ উঠেছে। এসব মাটি অপসারণ না করায় খাল সরু হয়ে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বাড়ছে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি। তাই মাটিগুলো অপসারণের অনুরোধ জানিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে চসিককে দুটি চিঠি দেয়া হয়। বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী।
গত বৃহস্পতিবার দেয়া চিঠি সূত্রে জানা গেছে, চসিক গয়না ছড়া খালের লোহারপুল সরাইপাড়া এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ করে। কাজ শেষ হলেও নির্মাণকালে ব্রিজের এ্যাবাটমেন্টের বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ না করে এখনো খালের ভিতরে রেখে দেয়া হয়েছে। একই খালের ফইল্ল্যাতলি বাজার প্রিন্স ভবনের পাশে আরেকটি ব্রিজেরও এ্যাবাটমেন্টের বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি খালের ভিতরে রেখে দেয়। সেখানে ব্রিজের শার্টারও রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক চিঠিতে বলেন, বারবার মাটি ও শার্টার অপসারণ করার কথা বললে সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ হওয়ার পর অপসারণ করবে বলে জানায়। কিন্তু কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এ্যাবাটমেন্টের বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ করেনি। ব্রিজ নির্মাণকৃত স্থানে উত্তোলন করা মাটি রাখার কারণে খালের পাশ সরু হয়ে গেছে। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্তু হবে। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং জনভোগান্তি বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, গয়নাছড়া খালের পাহাড়তলী শহীদ লেইন পুলিশ বিট ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে চসিক ২৯০ মিটার ইট দ্বারা রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করে। সেখানেও খালের ভিতরে মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া ও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি রেখে দেয়া হয়েছে। তখনও মৌখিকভাবে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর দপ্তর থেকে বলা হলে ওসব মাটি কাজ শেষে অপসারণ করা হবে বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি খালের ভেতর রাখা হয়েছে। এ রিটেইনিং ওয়ালের ডাউনে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করে চসিক। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও ব্রিজের নিচে খালের মধ্যে রাখা মাটি নিয়োজিত ঠিকাদার অপসারণ করেনি। ফলে ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি চলাচল করতে পারছে না। তাই এসব মাটি অপসারণের অনুরোধ করে গত ৮ মার্চ চসিককে চিঠি দিয়েছিল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এছাড়া বামুনশাহী ও শীতলঝর্ণা খালেও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণকালে দেয়া বাঁধ ও বেইসের উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ না করার অভিযোগ করে গত মাসে চসিককে চিঠি দিয়েছিল সংস্থাটি।