সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি দল

দোহাজারী চৌকিদার ফাঁড়ি-নয়াহাট

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | রবিবার , ২৩ জুলাই, ২০২৩ at ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার চৌকিদার ফাঁড়ি এলাকায় শঙ্খনদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) ছায়েদুজ্জামান। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তার নেতৃত্বে ৩ জনের একটি টিম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসেন।

এ সময় চট্টগ্রাম১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন টিমে আরো ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. অঞ্জন কুমার দেব রায়, সিনিয়র সহকারী প্রধান সুমী মজুমদার। তারা শঙ্খনদের দুই তীর চৌকিদার ফাঁড়ি ও নয়াহাট এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণ করেন। এ সময় স্থানীয়রা শঙ্খনদের উপর সেতু নির্মাণের দাবি তুলে ধরেন।

জানা যায়, বর্তমানে সেতুটি নির্মাণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ)। তারা বর্ষাকালে নদীতে চলমান সর্বোচ্চ জলস্থর থেকে ১২ মিটার উচ্চতায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন। এতে সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা এবং নির্মাণ ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ ইতোপূর্বে শঙ্খনদীর ভাটায় নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতু, দোহাজারীকক্সবাজার রেলাইনের শঙ্খনদের উপর রেলসেতু, চট্টগ্রামকক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ৬ লেইনের সাঙ্গু সেতু, বৈলতলীতে খোদারহাট সেতু এবং উজানে বান্দরবান সীমান্তে গোয়ালিখোলা সেতুর কোনটিতেই ৫/৬ মিটারের উপরে উচ্চতা রাখা হয়নি। শুধুমাত্র চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভা ও সাতকানিয়ার পুরানগড়বাসীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম চৌকিদার ফাঁড়িনয়াহাট সেতুটি নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের ১২ মিটার উচ্চতা রাখার সিদ্ধান্তে সেতুটি নির্মাণে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় নদের দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে গত ২১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেটের উপর বক্তব্যে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি উক্ত সেতু নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতার কথা তুলে ধরে পুনরায় বক্তব্য উপস্থাপন করার পর বিআইডব্লিউটিএ এর ১২ মিটার উচ্চতা প্রস্তাবের বিষয়ে সরেজমিন দেখতে গতকাল শনিবার সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের পরিদর্শন টিম। পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম, এলজিইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল আহমদ, প্রকল্প পরিচালক জিসিপি৩ আবুল মনজুর মো. সাদেক, এলজিইডি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী, দোহাজারী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. লোকমান হাকিম, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ জুনাইদ আবছার চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে
পরবর্তী নিবন্ধহামজারবাগে কিশোরীর আত্নহত্যা