করোনার সেকেন্ড ওয়েভে কাঁপছে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশ নয়- ভারত, সাউথ আফ্রিকাসহ অনেক দেশই। আমাদের দেশে সংক্রমণ যখন ৫% এর অনেক নিচে নেমে গেলো, আমরা আশাবাদী হয়ে উঠলাম। কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত কদিনের সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে করোনার বিধ্বংসী ক্ষমতা। হয়তো সাবধান হবার সময়ও পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন হল? আমি বলবো, সাধারণ মানুষের হঠকারিতার জন্য। মাস্ক না পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা বা হাত না ধোয়া। তার সাথে যোগ হয়েছে বিয়ে, ব্যাপক পর্যটন, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সভা সমিতি এবং বিভিন্ন মেলার আয়োজন।
আজ আমি ‘সেই শিক্ষিত মানুষদের’ প্রতি আঙুল তুলছি যাদের বেহিসেবী, সবজান্তা জীবনযাত্রার জন্য আমরা সবাই সম্ভবত গতবছর থেকেও বড় বিপদে পড়তে চলেছি।এসব শুনে অবশ্য আপনাদের কিছু যায় আসে না। আপনারা অনেক ভাল বোঝেন, জানেন। দুঃখ একটাই। আপনার শেষ বিদায়ের সময় জানাজায়/ শ্মশানে যাবার লোক থাকবে না! কী হতো এক দু’বছর কক্সবাজার, বান্দরবন, সিলেট, সুন্দরবন, খাগড়াছড়ি না গেলে? পিকনিক বা মেলা না করলে? কী ক্ষতি হয় মাস্ক পরলে, সোস্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চললে, সাবান, স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে? চারপাশের কতো আপন মানুষ করোনা কেড়ে নিলো তাতেও কি আমাদের শিক্ষা হয়না? কী ক্ষতি যদি আমাদের বাড়ির মানুষগুলো, কাছের মানুষগুলো আরও কিছুদিন বাঁচেন, আপনি নিজে বাঁচেন? সবকিছুই অর্থনীতির পাল্লায় মাপতে হবে কেন? জীবনের চেয়ে কি ব্যবসার মুনাফা বড়! নিজে না বাঁচলে মুনাফা কে খাবে? মনে রাখবেন, ঈশ্বর তাদেরই সাহায্য করেন, যারা নিজেরা নিজেদেরকে সাহায্য করে। চয়েস আপনার। স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না পরপারে বেড়াতে যাবেন।