চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা সেই ৪৯ টন বিপজ্জনক কেমিক্যাল সুনামগঞ্জের ছাতকের লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় ধ্বংস শুরু হয়েছে। এর আগে ১০টি ট্রাকে করে ৫৩ লটে ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি কেমিক্যাল পণ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে সুনামগঞ্জে পাঠায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো ধ্বংস কার্যক্রম শেষ হতে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৬ টন কেমিক্যাল ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লাফার্জ হোলসিমের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শে লাফার্জ হোলসিমের কারখানায় ধ্বংসযোগ্য কেমিক্যালগুলো পাঠানো হয়েছে। এর আগে এসব কেমিক্যাল নিলামে বিক্রির চেষ্টা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে অনেক পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়, আবার বিডারদেরও আগ্রহ ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ধ্বংস তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কঠিন পদার্থ, হাইড্রোজেন পারঅঙাইড, ব্লাঙ্ককিট, ডাইথোনাইট এবং সালফঙিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডা, ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, বেভারেজ কনসেন্ট্রেটসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। গত ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রি-কেমিক্যাল শেডে এসব কেমিক্যাল রাখা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার উপকমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন রহমান জানান, চট্টগ্রামে ডিও প্রকল্প না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কেমিক্যালগুলো সুনামগঞ্জে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ মেনে আমরা ১০টি গাড়িতে প্রায় ৪৯ টন কেমিক্যাল সুনামগঞ্জে পাঠিয়ে দিয়েছি। এসব কেমিক্যাল দুই হাজার ডিগ্রি উত্তপ্ত আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের এঙটার্নাল কমিউনিকেশন্স ম্যানাজার তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমরা কেমিক্যাল পণ্য ধ্বংস করছি। আমরা গত তিনদিনে ৬ টনের মতো সলিড কেমিক্যাল ধ্বংস করেছি। আশা করি হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা ধ্বংস কার্যক্রম শেষ করতে পারব।