চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পাইরাং বনে কাদায় আটকে পড়া হাতি শাবকটিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাদা থেকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার পরও লোকালয়ে চলে আসা এই হাতি শাবকটিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্কে রাখা হয়।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ইনচার্জ (রেঞ্জ কর্মকর্তা) মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাঁশখালীর জলদী রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, গত বুধবার রাতে হাতি শাবকটি পাহাড়ে হাতির পালের চলাচলের পথে রেখে আসেন এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু হাতির পাল ওই এলাকায় রাতে এলেও শাবকটি নিয়ে যায়নি। গতকাল সকালে শাবকটি নিজে থেকেই আগেরদিন পরিচর্যা করা স্থানে চলে আসে। এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা বিষয়টি বন বিভাগকে জানালে শাবকটিকে আবারও পরিচর্যায় নেওয়া হয়। দুধ খাওয়ানো ও শারীরিক অবজারভেশনের পর ঊর্ধ্বতন মহলের পরামর্শ অনুযায়ী সন্ধ্যায় হাতি শাবকটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ইনচার্জ মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালী থেকে একটি হাতি শাবক গতকাল সন্ধ্যার পর পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রায় একমাস বয়সী পুরুষ শাবকটি শারীরিকভাবে দুর্বল। এর আগেও তিনমাস বয়সী একটি নারী হাতি শাবক টেকনাফ থেকে উদ্ধারের পর পার্কে আনা হয়েছিল। তার নাম যমুনা, বয়স এখন দুবছর।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বাঁশখালীর জঙ্গল পাইরাং এলাকার গহীন পাহাড়ে হাতি শাবকটি নরম কাদা মাটিতে আটকে পড়ে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে হাতিটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পরদিন শাবকটি পাইরাং এলাকার লোকালয়ে এসে পড়ে। পরে জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে পরিচর্যা শুরু করে।