নানা চড়াই উৎরাই মোকাবেলা করে টিকে থাকার নামই জীবন। মানুষের দুনিয়ার যাত্রাটা ব্যক্তিজীবন, সংসারজীবন, চাকুরীজীবন, অবসরজীবন এই ধাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই ধাপগুলোর মধ্যে মানুষ ভেদে ধর্মীয় দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব, নাগরিক দায়িত্বসহ নানাবিধ দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত। প্রতিটি ধাপে ভালো, মন্দ অভিজ্ঞতা হয়। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে কেউ হাল ছেড়ে দেয়, পুনরায় হাল ধরে, হতাশায় ভোগে, পুনরায় আশায় বুক বাঁধে, ভুল করে, ভুল শুধরানোর চেষ্টা করে। বেশির ভাগ মানুষ তার বেধে দেওয়া সময়ে জেনে শুনে কারো ক্ষতি করে না। কাউকে ছোট করে নিজের স্বার্থ হাসিলের খেলায় মাতে না। বিধাতা প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে অন্যকে সহায়তা করার মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করেছে। অনেক মানুষ নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের জন্য বুক পেতে দেয়। প্রত্যাখাত হয়, অনেকে উপকার স্বীকার করেনা। তাতে উপকার করা মানুষ গুলো দমে যায়না। কারণ তারা প্রতিদানের আশায় কারো উপকার করে না। হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন ‘যে ব্যক্তি মানুষের উপকার বেশি করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ” (আল–মুজামুল আওসাত: ৫৭৮৭)। সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমতের আশায় সাধ্যমত মানুষের উপকারে প্রতিটি সচেতন মানুষের এগিয়ে আসা উচিত।