দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নেয়া কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হিসেবে গ্রহণ করা তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে। খবর বাংলানিউজের
২৭ বছর ধরে দুটি চাকরিতে সরকারি দুটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছিলেন হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউপি সচিব কানু কুমার নাথ।তিনি ইউপি সচিব হিসেবে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নেয়ার পাশাপাশি ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবেও সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে কানু কুমার নাথ দুইটি চাকরিতে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করলেও গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিনের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর ১৮ ফেবু্রয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড.বদিউল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়-একইসাথে একাধিক চাকরিতে থাকায় কানু কুমার নাথ কোনো দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করেননি। ফলে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কর্মকাণ্ডে চরম অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে গাফিলতি ও অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ‘দায়িত্বে অবহেলা ও বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করা দুর্নীতির শামিল। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী। ’
অফিস আদেশে আরও বলা হয়- দুই পদের বিপরীতে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।