প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে আজ (২৯ নভেম্বর) কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মক্তারসহ কয়েকজন কানুনগোকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে তাদের দেয়া চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজের এবং স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র, মূল পাসপোর্ট, ২০১৬ সাল থেকে ব্যাংক হিসাব বিবরণী ও আয়কর নথিও তলব করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রস্তাবিত জমি পৌর মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান নিজের স্ত্রী ও শ্যালকের নামে কিনে নেয়। পরে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে নেয়। এ নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, নেপথ্যে স্ত্রী-শ্যালকসহ পৌর মেয়র, অনুসন্ধানে দুদক, কক্সবাজার ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্প” শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর কক্সবাজার জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের সময়েই সরকারি স্বার্থের জমি কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও শ্যালকের নামে নামজারি করে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মক্তার। এর মাধ্যমে পানি শোধনাগার প্রকল্পের মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও শ্যালক ৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এরপর ওই টাকার মধ্যে শ্যালক মিজানুর রহমানের ব্যাংক হিসেব থেকে ৪ কোটি টাকা জব্দ করে দুদক।
কক্সবাজারে পিবিআই অফিস নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণেও একই কায়দায় একজনের জমি অন্যজনের নামে অবৈধভাবে নামজারি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহরিয়ার মক্তারের বিরুদ্ধে। ওই প্রকল্পেও ১৭ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের সুযোগ হয়েছে জড়িতদের।