সেই অধ্যক্ষকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমপি ফারুক, অভিযোগ অস্বীকার

| শুক্রবার , ১৫ জুলাই, ২০২২ at ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এসে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমপির সঙ্গে বসে ওই কলেজ অধ্যক্ষও জানান, ওমর ফারুক তাকে পেটাননি; যদিও নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। খবর বিডিনিউজের।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক তার কার্যালয়ে গত ৭ জুলাই রাতে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে ‘পিটিয়ে’ আহত করেন বলে অভিযোগ উঠে। সেলিম রেজার সহকর্মীদের মাধ্যমে মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ পায়। সেদিন সাংবাদিকরা নগরীর রায়পাড়ার বাসায় গেলে সেলিম রেজা তাদের কাছে পিটুনির অভিযোগ করে বলেছিলেন, ঘটনার পর থেকে তিনি লজ্জায় বের হননি এবং আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। তবে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা উল্টে যান।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন ও অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি আমাদেরকে নিবৃত করেন। এছাড়া আর অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি সেখানে। রাজশাহী নগরীর ‘ওমর থিম প্লাজা’য় সংসদ সদস্য ওমর ফারুকের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এই কার্যালয়েই ৭ জুলাই রাতে সেলিম রেজাকে পেটানো হয়েছিল বলে সেখানে উপস্থিত অন্যদের কাছ থেকে জানা গেছে। গোদাগাড়ীর বিভিন্ন কলেজের আটজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে সেদিন ডেকে ছিলেন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক।
সেখানে উপস্থিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, বৈঠকে ওমর ফারুক উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে সেলিম রেজাকে ধরে তার বাম চোখের নিচে ঘুষি মারেন। উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। একপর্যায়ে চেম্বারে থাকা হকিস্টিক দিয়েও আঘাত করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পরে সেলিম রেজাকে এমপির কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে যান আরেক কলেজের একজন অধ্যক্ষ।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন, এমপি সাহেবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী-তানোর নির্বাচনী এলাকায় তার সুনাম, উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে তারা আমার বাসায় প্রবেশ করেন। আমাকে অভিযোগ করার জন্য উসকানি দেন। আমার ছবি তোলার চেষ্টা করেন। আমি ছবি তুলতে দিইনি। কোনো অভিযোগ বা মন্তব্য প্রকাশ করিনি।সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূলত ঈদের আগে শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন তারা। বিশেষ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আমি গিয়ে তাদের থামাই। আমি কাউকে সেখানে পেটাইনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিন্ডিকেট ঠেকাতে চাল আমদানির অনুমতি
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির ঈদ পুর্নমিলনী