সৃষ্টির সেবা করা একটি মহৎ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম বালিকা সদনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী আয়োজনের শেষদিনে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম বালিকা সদন একটি আধুনিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধার্মিকতা ও কারিগরি শিক্ষা সম্বলিত স্বয়ংসম্পূর্ণ ও বহুমুখী প্রতিষ্ঠান। এখানে এতিম, সুবিধাবঞ্চিত, দুস্থ মেয়েদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনাসহ যাবতীয় থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই এতিমখানাটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর আমবাগানের বাটালিহিলে অবস্থিত। এ.কে. খাঁন ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এই এতিমখানাটি সুদীর্ঘ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষ্যে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথমদিন গত বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে এতিমখানার মেয়েদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরো সুযোগ–সুবিধা প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। তিনি মেয়েদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি তার বক্তব্যে ‘হাক্কুল ইবাদ’ সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বলেন, আমার সাধ্যমতো এ প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। আজকে যারা এখানে বড় হচ্ছে তারাও একদিন এ সেবায় নিয়োজিত হবে। সমাজের সর্বস্তরে তারা অবদান রাখবে। এতিমখানার উন্নতির লক্ষ্যে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি। আরও উপস্থিত ছিলেন এ.কে. খাঁন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম বালিকা সদনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি সালাহউদ্দিন কাশেম খাঁন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফারহাত কাশেম খান এবং সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা আহমেদ, ফুলকলি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির জি. এম. এম. এ সবুর, ইস্পাহানি গ্রুপ অব কোম্পানির শিরিন, ইস্পাহানি ও সিজিএস (এনসি) এর প্রিন্সিপাল তাহসিন খান প্রমুখ। এতিমখানার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও এতে অংশ নেন। উপস্থিত সকলে এতিমখানার সার্বিক সফলতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বালিকা সদনের তত্ত্বাবধায়ক ফারহানা চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বালিকা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক সুলতানা আক্তার।