সৃজনশীল এর নামে গদ বাঁধা গাইডের পড়া বন্ধ করুন

| সোমবার , ১৫ মার্চ, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম ধরণ হলো সৃজনশীল। সৃজনশীল মানে সৃষ্টিশীল, নিজ থেকে লেখা, নিজে যা উপলব্ধি করে তা নিজের ভাষায় প্রকাশ করা। এক এক জনের সৃষ্টির ক্ষমতা এক এক রকম। যেহেতু সৃজনশীল তাই মানুষভেদে তাদের লেখার তারতম্যের হওয়ার কথা। কিন্তু যদি বইয়ের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ১০ জন ছাত্রের খাতা দেখা হয় তাহলে ৮ জনের লেখায় সমপর্যায়ের হবে। যার কারণ হলো সৃজনশীলের নামে গদ বাঁধা গাইডের পড়া মুখস্ত। সেই মুখস্ত পড়াই ছাত্রের সৃজনশীলতা, মানসিক বিকাশ কোনোটাই সৃষ্টি হচ্ছে না। পক্ষান্তরে, পরীক্ষায় নাম্বারের জন্য গদ বাঁধা গাইডের পড়া পড়ে-পড়ে ছাত্রের সৃজনশীলতা ধ্বংস হচ্ছে। সেই শিক্ষা তার মানসিক বিকাশ ও উন্নত মননশীল সৃষ্টিতে কাজে আসছে না। বরং গদ বাঁধা গাইডের একচেটিয়া পড়ার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকছে। এর ফলাফল কখনো ভালো হচ্ছে না বা আদৌ হবেও কিনা সন্দেহ। তাই সৃজনশীলের নামে গদ বাঁধা গাইডের পড়া মুখস্ত করা রোধ করতে হবে। এর জন্য সব থেকে বেশি কাজ করতে হবে শিক্ষক ও অভিভাবকদের। সত্যিকারের সৃজনশীল হতে হবে আমাদের। যার মধ্যে থাকবে অদ্বিতীয়তা, থাকবে নতুনত্ব। সত্যিকারের সৃজনশীল হলেই ছাত্ররা ও সৃজনশীল হয়ে উঠবে। সৃজনশীল মানুষই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রতিটি কাজে। জাতিকে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে ধারণা করিয়ে দিবে। তাই যত শীঘ্রই সম্ভব সৃজনশীলের নামে গদ বাঁধা গাইডের পড়া মুখস্ত করা থেকে ছাত্রদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাঝে।
সাজ্জাদ হোসেন রায়হান, শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ,
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্নদাশঙ্কর রায় : বাংলা সাহিত্যের এক আলোকস্তম্ভ
পরবর্তী নিবন্ধপেশা যখন শিক্ষকতা