লোডশেডিং! বিদ্যুৎ বিভ্রাট। উহু কী অসহ্য যন্ত্রণা। ভাবতেই দুর্বিষহ হয়ে উঠে এই চলমান জীবন যাত্রা। স্তব্ধ হয়ে পড়ে সব কিছু। স্থবিরতায় পেয়ে বসে সবাইকে। হা হুতাশ করতে করতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এক ঘণ্টার জন্য যদি লোডশেডিং হয় তখন আমরা অস্থির হয়ে উঠি। এর বেশি হলে তো কথাই নেই। মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ, টিভি চ্যানেলের টক শো-তে লাগামহীন আলোচনা, রাজনীতি কতো কী না ঘটে আমাদের এই সব সম্ভবের দেশে। লোডশেডিং হলে সরকার আর বিদ্যুৎ দফতরের কর্তা ব্যক্তিদের মুণ্ডপাত করা এখন আমাদের নিত্য-দিনের রুটিন মাফিক কাজ। আর এই দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে শুরু হয় নানা সমস্যা যন্ত্রণা। বাতি জ্বলবে না, ঘর থাকে অন্ধকার, পাখা ঘুরে না ভীষম গরমে নাভিশ্বাস হওয়ার মতোন ত্রাহি অবস্থা। পানি আসে না কলে, শিল্প কারখানা হয়ে পড়ে অচল। ব্যবসা বাণিজ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সবি যেন অসার জড় বস্তুতে পরিণত হয়। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে পুরো নগর সভ্যতা। এক বিংশ শতাব্দীর এই সময়ে ভাবতে অবাক লাগে মানুষ এক দিন অন্ধকার যুগে বাস করতো।
সেই দিন কিছুই ছিল না বৈদ্যুতিক আলো-পাখা, এসি কিংবা ফ্রিজ, ছিল না কোনো অবসর বিনোদনের মাধ্যমে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি। কিন্তু আজকের এই আধুনিক সভ্যতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পিছনের অন্ধকার দিনগুলোর কথা ভেবে সান্ত্বনা খুজে পাওয়ার চেষ্টা করাটা কি ঠিক হবে? অবশ্যই না। আমারা আলোর পথের যাত্রী, ভাঙরে তিমির রাত্রী। মশাল জ্বালো, মশাল জ্বালো। আমরা অন্ধকারের কথা ভাবতে রাজি নই, আমরা আলোর পথের অভিযাত্রী। আমাদের শিল্প আছে, আছে সভ্যতা। বাণিজ্য আছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আছে। যার ক্রমবিকাশের মাধ্যমে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে আমাদের আধুনিক সভ্যতার স্বপ্নসৌধ।
এই আধুনিক সভ্যতা রচনার পিছনে রয়েছে অনেক মেধা, মনন, শক্তি ও সম্পদ। এই সভ্যতা গড়ে তুলতে আমরা যেমন একদিকে আমাদের চিন্তা ও বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটিয়েছে, অন্যদিকে ব্যবহার করেছি আমাদের প্রাকৃতিক শক্তি ও সম্পদকে। প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে আমরা এখনো ব্যবহার করে চলেছি খনিজ জ্বালানী যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া আজকের সভ্যতা প্রায় অচল। কিন্তু প্রাকৃতিক খনিজ শক্তির উপর নির্ভর করে আমরা আর কতো দিন চলতে পারবো? দিন যতই যাচ্ছে, ততই এই প্রকৃতির ভাণ্ডার ফুরিয়ে যাচ্ছে। মূল সমস্যা কিন্তু এখানেই। আমরা সভ্যতার এ প্রান্তে এসে অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে রাজি না। কিন্তু আবার প্রচলিত প্রাকৃিতক শক্তি সম্পদও প্রায় নিঃশেষ হতে চললো। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। তার সাথে গোদের উপর বিষ ফোড়ার মতো রয়েছে প্রাকৃিতক দূষণের উৎপাত। আকাশে বাতাসে, জলে স্থলে কোথায় নেই দূষণ? পৃথিবী নামক এই গ্রহের দূষণে পুরোপুরি দায়-দায়িত্ব যদি মানুষ নামক জাতটার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যায় তাতেআমার মনে হয় একটুও দোষের হবে না। গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া, ময়লা আবর্জনা, বজ্য, নোংরা পরিবেশ সবিতো আমাদের সৃষ্টি। এছাড়াও আরো হাজারো দূষণ মানুষ প্রতিদিন সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষের এমনি অবস্থা যে গাড়িতে না চড়ে কিংবা কলকারখানা না গড়েও উপায় নেই। সুন্দর এই আধুনিক সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে মানুষ যেমন একদিকে জ্বালানী পুড়িয়ে চলছে, আবার অন্যদিকে একিসাথে ঘটিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক দূষণ। এ যেন শাঁখের করাত।
এই সমস্যা এখন সাড়াশির মতো দুদিক থেকে আমাদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে। দিনে দিনে তা আরো ঘণীভূত হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষে, পরিত্রাণ লাভের জন্য দেশে দেশে বিজ্ঞানীরা এখন খুঁজে চলেছেন শক্তির বিকল্প উৎস। পরিত্রানের সুন্দরতম আধুনিক সমাধান উপায়। এমনই এক বিকল্প শক্তির নাম ‘সৌর শক্তি’ সূর্যের উজ্জ্বল আলো এবং তাপ। সূর্য এমনি এক শক্তি যার উপস্থিতিতে মানুষের জীবন ধারণ এবং সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। আর এই সূর্যের আলো থেকে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সৌর শক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে এদেশে এর ব্যাপক ব্যবহার এবং প্রসারতা ঘটেনি। যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এর প্রযুক্তি এখনো সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সভ্যতার এ লগ্নে ভবিষ্যতে এ ধরণের সৌর শক্তিই আমাদের একমাত্র ভরসা।
প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০৫ সালে আমি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আমার দুই বছর সেদেশে থাকার সুবাদে তাদের শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষা-প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ভাবে দেখা ও জানার সুযোগ হয়েছিল। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে তারা নানা বিকল্প পথ ব্যবহার করেছে। সেখানে তেল, গ্যাস, পারমানবিক এমন কি সৌর শক্তি বা সোলার এর ব্যবহার যুগপতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জাপানের আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকায় যেখানেই আপনি যান না কেন সব বাড়ির ছাদে সোলার প্যানের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাবে। যা সত্যিই অভিনব, বিশেষ করে জাপানের মতো দেশে। জাপানীদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, সূর্য রশ্মি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তিকে তারা গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে মূল বিদ্যুৎ গ্রীডের উপর চাপ কমায় এবং বিদ্যুৎ শক্তি সাশ্রয় হয়।
পৃিথবীতে তাপ ও আলোর প্রধান উৎস হচ্ছে এই সূর্য। এই পৃিথবীতে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে মূলতঃ সূর্যের সুষম তাপ এবং আলোর প্রবাহের ফলে। সূর্যের অপার করুণায় পৃ্িথবীর প্রাণীকূল তাদের জীবনের বিকাশ ঘটিয়েছে। আধুনিক জীবন যাত্রার এবং সভ্যতার ক্রমোন্নতির জন্য সূর্যের শক্তিকে নানা ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে সাফল্যটি এসেছে তা হলো সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন। এখন সময়ের দাবী প্রকৃতির এই দানকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সৌর শক্তি বা সোলার পাওয়ার বিষয়ে নিম্নে কিছুটা আলোপাত করা হলো।
সোলার সেল মডিউল
‘সোলার সেল মডিউল’-এর মাধ্যমে সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা যায়। একে ফটো ভোল্টাইক সিস্টেমও বলা হয়ে থাকে। এই ফটো ভোল্টাইক সিস্টেম আবার একের ভিতর দুই। কারণ সোলার মডিউল ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন কোনও জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না, অন্যদিকে তা পরিবেশ দূষণও করে না। আবার অন্যদিকে খনিজ জ্বালানীর মতো অচিরেই নিঃশেষ হওয়ার ভয়ও নেই।
এই সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে নতুন যুগের সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমানে আবার ফটোভোল্টাইক সিস্টেমের খরচ অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এর খরচ কমানো গেলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া যাবে। আমাদের দেশের যে সব এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়েছে কিংবা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বিশেষ করে দ্বীপাঞ্চল সমূহে সেখানে এক্ষেত্রে ফটোভোল্টাইক সিস্টেমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এক নবযুগের সূচনা করবে নিঃসন্দেহে। বিদেশী প্রযুক্তি ও সাহায্য সহযোগিতায় বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে এই সোলার সিস্টেম বিদ্যুৎ উৎপাদন প্যান ব্যবহার করা হয়েছে।
ফটোভোল্টাইক পাওয়ার প্ল্যান্ট কিভাবে তৈরি করা যায় ফটোভোল্টাইক পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন তেমন জনপ্রিয় না হলেও বর্তমানে কিছু কিছু অফিস কিংবা বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সোলার প্যান / প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিখ্যাত একটি পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান সোলার প্যানেলের সিস্টেমের মাধ্যমে নিজস্ব পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছেন। যার ফলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এই বিষয়ে আগ্রহী হবেন।
সূর্যের আলো যখন পটাশিয়াম, সিলিকন প্রভৃতি ধাতব পদার্থের উপর পতিত হয় তখন তাদের পৃষ্টতল থেকে ইলেকট্রন নির্গত হয়। এই ইলেকট্রনকে ফটো ইলেকট্রন বলা হয়। ইলেকট্রন নির্গত হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে ফটো ইলেকট্রন ইফেক্ট বা আলোক তড়িৎ প্রভাব বলে। নির্গত ইলেকট্রনকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই আলোক তড়িৎ প্রভাবটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ একে সৌর কোষ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
এই আলোক তড়িৎ প্রভাবটি খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ কারণ একে সৌর কোষ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এবং এই সৌর কোষই সূর্যের আলোক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। সাধারণত বালির মধ্যে যে পদার্থকে উজ্জ্বল চকচকে দেখতে পাই তা হচ্ছে সিলিকন। এই সিলিকনের পাতলা পাত দিয়ে সৌর কোষ তৈরি করা হয়।
একটি সৌর কোষ তৈরীতে ৪ সেন্টিমিটার লম্বা পুরু সিলিকনের বিস্কুট ব্যবহৃত হয়। সূর্যরশ্মি সৌর কোষের উপর প্রতিস্থাপিত হয়ে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। প্রত্যেকটি তড়িৎ অর্ধ ভোল্ট তড়িৎ সৌর কোষ একত্রে সংযক্ত করে সূর্য কিরণের নীচে রাখা হয়। প্রায় ২০,০০০ সৌর কোষের একটি প্যানেল থেকে ৫০০ ওয়াট তড়িৎ ক্ষমতা উৎপাদন করতে সক্ষম। আগের দিনে সৌর কোষকে বিদ্যুৎ ধরে রাখার কোনো পদ্ধতি ছিল না। বর্তমানে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় সৌর বিদ্যুৎকে পরে ব্যবহারের জন্য সঞ্চয়ী বা রিজার্ভ বিদ্যুৎ কোষকে চার্জ করে রাখা যায়। তা পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করা যায়। আমাদের পাশ্ব্বর্তী দেশ ভারতে বেশ কয়েকটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফটো ভোল্টাইক পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্ণাটকে একটি গ্রামীণ টেল ফোন একচেঞ্জ ও মধ্যপ্রদেশের মারহাইতে একটি মাক্রোওয়েভ রিপিটার স্টেশনকে বৈদ্যুতিকরণ করা হইয়েছে। তামিলনাড়ুর থেপ্পাগড় গ্রামের রাস্তায় আলো লাগানো হয়েছে। কর্ণাটকের রেলওয়ে ডিসট্যান্ট সিগন্যালিং এর ক্ষেত্রে ফটোভোল্টাইক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে ৫ কিলোওয়াটের একটি ফটোভোল্টাইক পাওয়ার প্ল্যান্ট।
সৌরকোষের ব্যবহার আজকের দিনে উন্নত বিশ্বে ব্যাপক। ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, টেলিভিশন, গাড়ি এমন কি উড়োজাহাজ পর্যন্ত প্রভৃতিতে সৌর কোষের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বিদেশে সৌর চালিত মোটর গাড়ির প্রচলন সেই অনেক আগে থেকেই। বর্তমানে টেলিফোন সংকেতকে শক্তি যোগাতে রৌদ্রজ্জ্বল জায়গায় সৌর কোষের প্যানেল ব্যবহৃত হয়। মহাশূন্যযানে, মহাশূন্য গবেষণাগারে এবং কৃত্রিম উপগ্রহগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সৌরকোষ ব্যবহার করে থাকে।
ইলেকট্রাভ্যান এছাড়া ব্যাটারীতে চার্জ দ্যা এবং পানির পাম্পের ক্ষেত্রেও ফটোভোল্টাইক মডিউল কাজে লাগানো যায়। ইলেকট্রাভ্যানের মাধ্যমে সৌর কোষকে কাজে লাগিয়ে মোটর গাড়ি চালনায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকেও বেঁচে যাচ্ছে মানুষ। ভারতেও হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিঃ (ভেল) এর ভূপালে ইলেকট্রিক ডিভশন ইলেকট্রাভ্যান নামে একটি গাড়ি তৈরি করেছে যা কোন জ্বালানী ছাড়াই চলে। এটি চলে ব্যাটারীর মাধ্যমে। ফটোভোল্টাইক সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে এ গাড়ি চালাতে হয়। তেমনি আমাদের বাংলাদেশে এ রকম প্রযুক্তি উদ্ভাবন না হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে এমন গাড়ি এদেশে কিছু কিছু আমদামী করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এর ফলে জ্বালানী সমস্যা নিরসন এবং বায়ূ দূষণ থেকে রক্ষা হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে যখন এই গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচল করবে তখন আর যাই হোক কার্বন মনোক্সাইডের তীব্র বিষক্রিয়া থেকে অন্তত পরিবেশকে বাঁচানো যাবে। উন্নত বিশ্বে এ রকম সৌর চালিত গাড়ি অনেক আগেই বাজারে বের হয়ে গেছে। পৃথিবীতে যে পরিমান পেট্রোলিয়াম তেলের ভাণ্ডার মজুদ আছে তা আগামী চল্লিশ বছরের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে গ্যাস, কয়লা কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর ব্যাপক প্রচার প্রসার না ঘটলেও তা মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। আগামীতে এর ব্যাপক প্রচলনের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা মেটানো যাবে। এরপরও কথা থেকে যায় – সূর্য সকল শক্তির আধার, উৎস। আগামি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী হিসেবে সৌর শক্তি একটা অবস্থান করে নেবে সেটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
লেখক : গবেষক, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠক।
পেশাগতভাবে রয়েল ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর।









