সু চির দলের সদরদপ্তর ধ্বংস

সামরিক বাহিনীর অভিযান

| বৃহস্পতিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদরদপ্তরে ‘অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করেছে’ বলে দলটি অভিযোগ করেছে। মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনী দরজা ভেঙে দপ্তরটিতে প্রবেশ করে বলে জানতে পেরেছে বিবিসি। অভিযানের সময় দলটির কোনো সদস্য ইয়াঙ্গনের ওই ভবনে উপস্থিত ছিল না।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা দেশটির সেনাবাহিনী দলটির নেত্রী সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের আটকও করে রেখেছে। মিয়ানমারে টানা চতুর্থ দিন হাজার হাজার জনতার অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার এনএলডির সদরদপ্তরে নিরাপত্তা বাহিনীর হানা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটল। খবর বিডিনিউজের।
এ দিন রাতে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গনে কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা জোর করে ওই ভবনে ঢুকে পড়ে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন সু চির দলের দুই নির্বাচিত আইনপ্রণেতা। পরে দলটির ফেইসবুক পেইজে বলা হয়, সামরিক জান্তা রাত সাড়ে ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়) এনএলডির সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়ে সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
বিক্ষোভ দমাতে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিকালীন কারফিউ দিলেও বেশিরভাগ শহরেই সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রাজধানী নেপিডোতে ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বলেছে। সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং গত সপ্তাহে অভ্যুত্থানের সময় আটক সু চি ও অন্যান্যদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা। প্রতিবাদকারীদের ওপর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। বার্মার (মিয়ানমার) প্রত্যেকের কথা বলার, সংগঠিত হওয়ার, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অধিকার রয়েছে, ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের সময় এবং তার পরের কয়েকদিন ধরে সু চির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও দেওয়া হয়নি বলে প্রাইস অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, বার্মায় গণতন্ত্র ও বেসামরিক নেতৃত্ব যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহল সব পথে চেষ্টা চালাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা গবেষণাগার থেকে ছড়ানোর ইঙ্গিত পায়নি ডব্লিউএইচও
পরবর্তী নিবন্ধকবিতা নিকেতনের আড্ডা