রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় মানুষের ভালোবাসা ও বন বিভাগের তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে তিন দিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছে একটি এশিয়ান বন্য হাতি। শরীরের একাধিক ক্ষত নিয়ে থাকা অসুস্থ হাতিটি চিকিৎসার পর পুনরায় বনে ফিরে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির লংগদু উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ রাঙিপাড়ার সংরক্ষিত বনে গত রোববার দেখা মিলে অসুস্থ পুরুষ বন্য হাতিটির। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত পাওয়ায় চলাফেরা সীমিত হয়ে যায়। হাতিটির যাতে কেউ ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য কাজ শুরু করে এলিপ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)। টিমের সদস্যরা হাতির সুরক্ষায় সার্বক্ষণিক পাহারা ব্যবস্থা করে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটোনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মেডিকেল অ্যান্ড সার্জারি বিভাগের একদল চিকিৎসক ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির চিকিৎসা শুরু করে। হাতিকে চেতনাশক ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এলিপ্যান্ট রেসপন্স টিমের (ইআরটি) সদস্য জয়নাল বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা রোববার জানতে পারি একটি বন্য হাতি অসুস্থ হয়েছে। পরে বিষয়টি বন বিভাগকে জানাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের পাবলাখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সজীব মজুমদার বলেন, এলিপ্যান্ট রেসপন্স টিমের মাধ্যমে আমরা বন্য হাতির অসুস্থতার খবর জানতে পারছি। পরবর্তীতে চিকিৎসরা এসে হাতিটিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। আপাতত বন্য হাতিটি শঙ্কামুক্ত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) উপ–বন সংরক্ষক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গত রোববার লংগদু উপজেলার রাঙিপাড়ায় একটি বন্য হাতির অসুস্থতার খবর পাই আমরা। এ নিয়ে আমরা সিভাসু ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের সহায়তা চেয়েছি। আজ (মঙ্গলবার) মেডিকেল টিম গিয়ে হাতিটিকে চিকিৎসা দিয়েছে। হাতিটিকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন পাবলাখালী রেঞ্জে ১৩টি বন্য হাতি রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছে ।