সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য নিজে পরিষ্কার থেকে আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। আমাদের সকলের মনে করতে হবে আমার দ্বারা যেন আশেপাশের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট না হয়। একজন মানুষ যেমন নিজের ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখে তেমনি বাইরের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখাটা কর্তব্য মনে করতে হবে।
এখন বাইরে বের হলেই দেখা যায় রাস্তাঘাটে কিংবা পার্কে মানুষ নিজের খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট, বাদামের খোসা, পানির বোতল, সিগারেটের অবশিষ্টাংশ যত্রতত্র ফেলে আশেপাশের পরিবেশকে নোংরা অপরিচ্ছন্ন করে ফেলে। শহরের পথ চলতে কিছু অসচেতন নাগরিক এবং বর্তমানে উঠতি বয়সের তরুণদের ধূমপানের সৌখিনতা স্কুল কলেজগামী শিশু কিশোর তথা অধূমপায়ী নাগরিকদের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।
নিজের নগরীকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আমাদের প্রত্যেকের মনে করতে হবে আমার দ্বারা আশপাশ নোংরা অপরিচ্ছন্ন না হয়। তাহলে আমার মনে হয় আমরা একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরীতে বাস করতে পারব। নিজে প্রথমে কাজটা করে দেখাতে হবে।
আসুন একজন সচেতন নাগরিক হয়ে অন্যের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলি। নিজের নগরীকে একটি ঘর মনে করে সত্যিকারের বাসযোগ্য করে তুলি। নগরের রাস্তা–ঘাটে, পার্কে, বাজারে যেখানে জনসমাগম বেশি থাকে সে সব স্থানে চাহিদা মোতাবেক ময়লার বিন স্থাপন করতঃ জনগণের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টির জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
জামালখান ওয়ার্ডকে মডেল মনে করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে জামালখান ওয়ার্ড পরিণত করতে হবে। তবেই একটা সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর নগরী গড়ে উঠবে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর নগরীতে সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।