সুর সপ্তকের স্মরণানুষ্ঠান

| রবিবার , ১৯ জুন, ২০২২ at ১২:২১ অপরাহ্ণ

প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীত জগতের পথিকৃৎ স্বরূপ। স্বাধীনতা উত্তর কালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা অবিস্মরণীয়। মৃতপ্রায় উচ্চাঙ্গ সংগীত জগৎটাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি, যার ফল আজকে ভোগ করছে সমগ্র দেশবাসী।

সম্প্রতি থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সুর-সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠ আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে গিয়ে আলোচকবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন সভাপতি ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী ও উস্তাদ মাসুদ হোসেন। এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন সুর-সপ্তকের শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান।

প্রথমে ভীমপলশ্রী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী তৃণা চৌধুরী, মালকোষ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী জয়িতা মুৎসুদ্দী, যোগ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন উস্তাদজীর কন্যা ফাল্গুনী বড়ুয়া, চারুকেশী রাগ পরিবেশন করেন শিল্পী জ্যোতি ব্যানার্জি ঢাকা, এবং শিল্পী জাকির হোসেন ঢাকা। শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।তবলায় সহযেগিতা করেন শিল্পী রাজীব চক্রবর্ত্তী এবং শিল্পী প্রদীপ নন্দী। হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন শিল্পী সুমন বড়ুয়া, শিল্পী প্রমিত বড়ুয়া ও ফাল্গুনী বড়ুয়া। এস্রাজে শিল্পী মদন মোহন ঘোষ এবং তানপুরায় শিল্পী হিল্লোল চৌধুরী, শিল্পী অরুণ বড়ুয়া ও শিল্পী সম্পদ বড়ুয়া সহযোগিতা করেন।

সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন মধুবন্তী সংগীত নিকেতনের শিক্ষার্থীরা। নৃত্য পরিচালনায় শিল্পী সুমি চক্রবর্ত্তী। শেষ পর্বে বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সুর-সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠ আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে শিল্পী সংগীতানুরাগীরা উস্তাদজীকে স্মরণ করেছেন পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীবৃন্দ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তাঁর সহধর্মীনী প্রতিমা রাণী বড়ুয়ার হাতে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন প্রবীর পাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো কলকাতার সিনেমায় মাহতিম শাকিবের গান
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার হ্যান্ডবল লিগের ফলাফল