সুরধ্যানের আয়োজনে গত ১৩ শুক্রবার এক শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সন্ধ্যা নগরীর এ কে খান ফুলকি মিলনায়তনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আর্য্য সংগীত সমিতির অধ্যক্ষ উস্তাদ মিহির লালা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুরধ্যানের প্রশিক্ষক ও পরিচালক বিশিষ্ট উচ্চাংগ সংগীত শিল্পী রিটন কুমার ধর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বংশীবাদক উস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী। প্রথম পরিবেশনায় ভুপালী রাগে সমবেত খেয়াল পরিবেশন করেন সুরধ্যানের শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় পর্বে শাস্ত্রীয় সংগীত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উস্তাদ মিহির লালা, উস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও শ্রীমতী জয়ন্তী লালা। আলোচকরা বলেন, সুর হলো গভীর ধ্যানের বিষয়। সুরের ধ্যানে গভীরভাবে নিমগ্ন না হলে সংগীত সাধনায় সফল হওয়া যায়না। সেই অর্থে সুরধ্যান নামকরণটা যথার্থ। সংগীতের মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়া যায় বলেই অন্যান্য যে কোন লঘু সংগীত করার শুরুতেই শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা আবশ্যক। শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিবেশনায় একক খেয়াল গেয়ে শোনান সুরধ্যানের ছাত্রী শিল্পী অংকিতা নন্দী।
শিল্পী প্রথমে রাগ মারু বিহাগ একতাল বিলম্বিত লয়ে ‘কাল নাহি আয়ে’ ও মধ্যলয়ে ‘মোরে বালমা আজহুঁ না আয়ে’ পরিবেশন করেন। এরপর একক পরিবেশনায় সুরধ্যানের শিক্ষার্থী চয়ন চক্রবর্তী বিলম্বিত একতালে ‘ক্যাসে পাউঁ শান গুরুচরণ আয়ে বিনা’ ও ত্রিতাল মধ্যলয়ে ‘শাম বাজায়ে আজ মুরলীয়া’ এই বন্দীশটি পরিবেশন করেন। পরবর্তী পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রামের বংশীধ্বনি। বংশীশিল্পী রণধীর দাশের পরিচালনায় বাঁশীতে বৃন্দবাদনের পরিবেশনা ছিল আর্য্যসংগীত সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সুরেন্দ্র লাল দাশ রচিত রাগ পিলু বাঁরোয়া ও ঝিঁঝিট।
সর্বশেষ পরিবেশনায় সুরধ্যানের শিক্ষার্থী শিল্পী অভিষেক নন্দী বাগেশ্রী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন। প্রথমে বিলম্বিত একতালে ‘মোহে মানব আয়ে’ ও ত্রিতাল মধ্যলয়ে ‘কৌন করত তোরে বিনতি পিয়ারবা’ গেয়ে শোনান তিনি। তবলায় অমিত চৌধুরী দীপ্ত, তানপুরায় শ্রাবন্তী দত্ত ও অন্বেষা দাশ শিল্পীকে সহযোগিতা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।