ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের নিজ কক্ষে মতবিনিময় করেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এসময় তিনি চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্তঃদেশীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠার শতভাগ সম্ভাবনার আশাবাদ ব্যক্ত করে এখানে শিল্প-বাণিজ্য-পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আন্তঃদেশীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে এবং এর ভবিষ্যৎ সিঙ্গাপুরের চেয়েও উজ্জ্বল। কক্সবাজার থেকে মীরসরাই পর্যন্ত উপকূলীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হলে এ বিশাল বেল্টে শিল্প ও পর্যটনের বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাড়া দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি দেশ থেকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এতে সামিল হতে ব্রিটিশ বিনোয়োগকে আমন্ত্রণ জানান চসিক প্রশাসক।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরার্ট চ্যাটারটন ডিকসন চসিক প্রশাসকের আহ্বানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। তাই এখানে আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা পান সেভাবে আমরা পেলে এবং পরিবেশ অনুকূল থাকলে আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে। এ সময় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












