সুবিধাভোগী ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে : খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

সুবিধাভোগী ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক দলের ঐক্য ঘটেনি, ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য ঘটেছে। সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। পেশাজীবীরা বলছে। এমনকি সুবিধাপ্রাপ্তদের বাইরের গণমাধ্যমও প্রত্যাখ্যান করেছে। তারাও আজ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে।

গতকাল সোমবার ২ নং গেইটস্থ একটি কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবদুল সেলিম, সহসভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেল।

আমীর খসরু বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন বাংলাদেশ কোথায় আছে? এটি নিয়ে একটি বড় সংশয় কাজ করছে। আমি বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ কঠিন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার আয়োজন করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়না। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনোই ব্যর্থ হয় নাই। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। এই সরকারকেও যেতে হবে।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, মহানগর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. আবদুল আলিম, ডা. আবুল কালাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. জোনায়েদ রায়হান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. গিয়াস উদ্দিন নয়ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেপথ্যে প্রবাসী ব্যারিস্টার, চারজনকে গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধদ্রুত ৬ উইকেট হারিয়েও বড় লিড লংকানদের