তাদের কেউ পথ হারানো শিশু, কেউ শ্রমিক কেউবা অভিভাবকের স্নেহ বঞ্চিত শিশু। সবার একই উদ্দেশ্য। শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো, মানুষের দ্বার প্রান্তে গিয়ে সেবা করা। সব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে ডাকঘর। শিশুদের চিত্ত বিনোদন, একটু খেলার সুযোগ, শিশুদের মাতৃপরশ দেওয়ার মতো নানা সৃজনশীল কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। ৪ বছরে চট্টগ্রাম শহরের শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে কাজ করছে ডাকঘর। ডাকঘরের প্রাপ্তি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখের অমূল্য হাসি। চার বছরে ছয় জন নিয়ে শুরু হওয়া ডাকঘর আজ ৮০ জনের একটি সংগঠন। সংগঠনের সকলে শিক্ষার্থী, পড়ালেখার পাশাপশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকারের জন্য কাজ করে চলেছে। শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ডাকঘর, ২০২০ থেকে ‘ঞযব ঝবহংব ড়ভ খরমযঃ্থ নামে একটি প্রজেক্ট চালু করেছে ডাকঘর, যেখানে অসহায় বৃদ্ধ লোকদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে সংগঠনটি। যে কোনো উৎসবে দরিদ্র পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটাতে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। ৪ বছরে পদার্পনে ডাকঘর তাদের বর্ষপূর্তির আলোচ্য বিষয় রেখেছে ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো’ নিয়ে। প্লাস্টিক এই সুন্দর মানব সমাজের গণবিলুপ্তির কারণ হতে পারে। সমাজের সকলের কাছে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বার্তা পৌঁছে দিতে ডাকঘর কাজ করবে।
ডাকঘরের অন্যতম সদস্য তির্ণা কানুনগো বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে এগিয়ে আসাটাই সকলের জন্য মূল কর্তব্য হওয়া উচিত। তার জন্য প্রয়োজন নিজের ইচ্ছা শক্তির। মানুষ তার ইচ্ছা অনুযায়ী সবই করতে পারেন। আর তাই কাউকে সাহায্য করার পরিকল্পনা করলে সে কখনো নিরাশ হবে না। তাই আপনাদের সকলের কাছে আবেদন থাকবে যেভাবেই পারুন মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। সকলের সহযোগিতায় একদিন এদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রাণ খুলে, ক্লান্তি দূর করে, মন থেকে হাসতে পারবে।
জানতে চাইলে সুবিধাবঞ্চিত এক শিশু বলেন, আমরা লেখাপড়া করতে পারছি, খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি, খেলাধুলারও সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের অনেক খুশি লাগছে।