সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে

লায়ন ডিস্ট্রিক্টের সেবাবর্ষের প্রস্তুতি সভায় অভিমত

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৮ জুন, ২০২১ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি৪ এর আগামী সেবাবর্ষের প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, লায়নিজমের সেবা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও চট্টগ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চট্টগ্রামের আড়াই হাজারেরও বেশি লায়ন সদস্য সেবা খাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
গতকাল চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি৪ এর গভর্নর (ইলেক্ট) লায়ন আল সাদাত দোভাষ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন ডা. সুকান্ত ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদ্য প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক। সভায় ফাস্ট ভাইস গভর্নর (ইলেক্ট) লায়ন শামসুদ্দীন আহমেদ সিদ্দিকী, সেকেন্ড ভাইস গভর্নর (ইলেক্ট) লায়ন এমডিএম মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন গভর্নর লায়ন এম এ মালেক, লায়ন মনজুর আলম মনজু, কেবিনেট সেক্রেটারি (ইলেক্ট) লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, কেবিনেট ট্রেজারার (ইলেক্ট) লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিকী, লায়ন এস দৌহা চৌধুরী, লায়ন হারুন ইউসুফ, লায়ন ওসমান গনি, লায়ন তপন দত্ত, লায়ন শওকত আলী চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা করোনাকালে মানুষের ভয়াবহ দুরবস্থার কথা তুলে ধরে এদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন ডাক্তার সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, লায়নজিমের মূল কাজই হচ্ছে সেবাদান। আর বর্তমান সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুবই প্রয়োজন। তিনি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গভর্নর ইলেক্ট আল সাদাত দোভাষ ও তাঁর টিমের প্রতি আহ্বান জানান।
সদ্য প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক মানুষের দুঃখ দুর্দশায় আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য লায়ন্স ক্লাবগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রয়োজনে একাধিক ক্লাব মিলে প্রোগ্রাম করুন। তবুও বড় পরিসরে সেবা করুন। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে মানুষের দিকে হাত বাড়ান।
প্রাক্তন গভর্নর লায়ন এম এ মালেক চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার হাসপাতালে সহায়তা করতে লায়ন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আড়াই হাজারেরও বেশি লায়ন সদস্য রয়েছেন। এরমধ্যে দুই হাজার সদস্য পাঁচ হাজার টাকা করে দিলে এক কোটি টাকা হয়। এই এক কোটি টাকা দিয়ে ক্যান্সার হাসপাতালে একটি বিশেষ লায়ন্স কর্নার করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালে লায়ন্স করোনা সাপোর্ট সেন্টারের মতো ক্যান্সার হাসপাতালেও বিশেষ কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য আগামী সেবাবর্ষের ডিজি টিমকে অনুরোধ করেন।
লায়ন্স গভর্নর (ইলেক্ট) আল সাদাত দোভাষ আগামী সেবাবর্ষে কি কি কাজ করতে চান তার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন। পুরো বছরের এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের কাছে লায়নিজমের সেবার হাত প্রসারিত করতে চান বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি আগামী সেবাবর্ষেও অতীতের মতো লায়নিজমের পতাকা সমুন্নত রাখতে চাই। তিনি বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের জন্য সেবার পরিধি বাড়াতে হবে। এমন সেবা করতে হবে, যা মানুষের কাজে লাগে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্মপরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট হলে সঠিক হবে বাস্তবায়ন : চবি ভিসি
পরবর্তী নিবন্ধবদভ্যাস ছাড়ার প্রতিজ্ঞা