স্বাধীনতা মানে শৃংখল ও শোষণের করাল গ্রাস থেকে নিজেকে মুক্তি আর আত্ম উন্নয়নের পথে স্বাধীনভাবে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ লাভ। কিন্তু এ সুযোগ আমরা কতখানি সদ্ব্যবহার করছি। কতখানি আমাদের শুভ অর্জন, তা মূল্যায়ন করে দেখা জন্য প্রতি বছর আমরা পালন করি স্বাধীনতা দিবস। আমরা খতিয়ে দেখি আমাদের ব্যর্থতার নেতিবাচক দিকগুলো আর প্রত্যাশা রাখি সুন্দর আগামীতে যেন স্বাধীনতার আরেকটি বছর আসার আগে নিজেরা আরেকটু উন্নত হতে পারি এবং আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারি দেশকে সেই প্রত্যাশা সকলের মাঝেই থাকে। আমরা চেয়েছিলাম শোষণ মুক্ত একটি দেশ, একটি গতিশীল সমাজ ব্যবস্থা। আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। চেয়েছিলাম শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে, গণতান্ত্রিক চেতনায় আমাদের স্বাধীন ও স্বনির্ভর একটি দেশ গড়ে তুলতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘ এই ৫০ বছরের ইতিহাসের পাতায় আছে পাওয়া না পাওয়ার শত কথা। অতীতের সকল দুঃখ কথা ভুলে আগামী দিনের নতুন প্রত্যাশায় এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। দেশের প্রত্যেক মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। কেননা এইদেশ বাঙালির, আমার,আপনার সবার। তাই সকলকেই দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আজকের দিনে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিই। যে বাংলাদেশে থাকবেনা কোনো প্রকার ঘৃণা, খুন, গুম, ধর্ষণ এবং প্রতিহিংসা পরায়ণের জায়গা। ভালোবাসাই হবে মানুষের একমাত্র ধর্ম। এই স্বাধীনতা আমার কাছে তখনই প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে যেদিন বাংলার কৃষক, মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।










