সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘সোলস আনপ্লাগড’

চট্টগ্রামে কনসার্ট ২ মে

| সোমবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়ের নাম সোলস। ১৯৭২ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে জন্ম নেওয়া এই ব্যান্ড পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলা সংগীতজগতের এক উজ্জ্বল আলো হয়ে অবস্থান করছে।

পঞ্চাশ বছর আগে শুরু হওয়া এক সুরের অভিযাত্রাআজও যেটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ছুঁয়ে যাচ্ছে, সেই সংগীতপথের শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ আয়োজন করা হয়েছে ‘মাস্টার কার্ড প্রেজেন্টস সোলস আনপ্লাগড : ৫০ ইয়ার্স অব টাইমলেস মিউজিক’। আগামী ২ মে রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম বে ভিউতে অনুষ্ঠিত হবে এ কনসার্ট। বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসের অনন্য সংগীতভ্রমণের ধারাবাহিকতায় এই কনসার্টের আয়োজন করছে এমঅ্যান্ডএম বিজনেস কমিউনিকেশন

এই বিশেষ সন্ধ্যায় সোলস ব্যান্ড তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রিয় গানগুলো পরিবেশন করবে সম্পূর্ণ আনপ্লাগড ফরম্যাটে। শ্রোতারা অনুভব করবেন নির্মল সুরের আবহে প্রিয় ক্লাসিক গানের নতুন ব্যঞ্জনা, যা হবে সংগীত, স্মৃতি এবং আবেগের অপূর্ব এক মিলনমেলা। ‘মাস্টার কার্ড প্রেজেন্টস সোলস আনপ্লাগড: ৫০ ইয়ার্স অব টাইমলেস মিউজিক’ কেবল একটি কনসার্ট নয় এটি হবে এক অমর সংগীত যাত্রার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সফল বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছেন মাস্টার কার্ড, যারা এই ঐতিহাসিক সংগীতযাত্রার অন্যতম গর্বিত সহযাত্রী। ভেন্যু সহযোগিতায় রয়েছে রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম বে ভিউ।

কনসার্টের দিন সরাসরি রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম বে ভিউএর নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের সুযোগ থাকবে। এ সুবর্ণযাত্রার সাক্ষী হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সোলস। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যখন নতুন আশার সুর বুনতে শুরু হয়েছিল, তখনই কয়েকজন তরুণ সংগীতপ্রেমীর হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে সোলস। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ধারা পরিবর্তন করে চলেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংগীতের মাধুর্য ও প্রাঞ্জলতা বজায় রেখেছে, আবার প্রতিটি প্রজন্মের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশনায় এনেছে নতুনত্ব। সোলসএর সংগীতে মিশে আছে আবেগ, প্রতিবাদ, ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণার ছোঁয়া যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে দোলা দেয়।

বাংলাদেশের রক ও ব্যান্ড সংগীতের পথিকৃত হিসেবে বিবেচিত সোলস পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যান্ড সংগীতকে মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে এক গভীর আবেগে। সময় বদলালেও তারা তাদের সংগীতধারা ও উপস্থাপনায় এনেছে বৈচিত্র্য, কিন্তু হারায়নি আত্মিক সংযোগ। এই ব্যান্ডের সুরে বড় হয়েছেন অনেকে, আবার নতুন প্রজন্ম তাদের গানে খুঁজে পান ভালোবাসা, আবেগ ও স্বস্তির ছোঁয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅয়েল ট্যাংকারের ইনচার্জ ড্রাইভারের লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সিরিজ বাঁচানোর মিশন