পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, যিশু একজন দরিদ্র কাঠমিস্ত্রির ছেলে ছিলেন। এই গল্প থেকে এই বিশ্বাস পোষণ করা উচিত যে, সব মানুষই বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের বড়দিনের পর্ব শুরু হওয়ার আগের দিন তাদের শীর্ষ যাজক এ কথা বলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সিস পোপ হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এবার ১২তম বড়দিন উদযাপন করছেন। বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তিনি গুরুগম্ভীর এক প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন। তিনি ক্যাথলিক পবিত্র বছর ২০২৫ জয়ন্তীও উদ্বোধন করেন। খিস্ট্রীয় বর্ষগণনার এই জয়ন্তী বছরে রোমে প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছে ভ্যাটিকান। এই পবিত্র বছর এর থিম হলো ‘আশার শক্তি’। খবর বিডিনিউজের।
এই বিষয়ে পোপ বলেন, আশা দেরি না করার, আমাদের পুরনো অভ্যাস পেছনে রাখার অথবা আলস্যে গড়াগড়ি না করার একটি সমন। ভুল বিষয়গুলোর জন্য মন খারাপ করতে আর সেগুলো পরিবর্তন করার জন্য সাহস করতে আশা আমাদের আহ্বান জানায়। জয়ন্তী হিসেবে পরিচিত ক্যাথলিক পবিত্র বছরকে শান্তির, ক্ষমাশীলতা ও মার্জনার সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত প্রতি ২৫ বছর পর পর এই জয়ন্তী আসে। এ সময় পুণ্যার্থীরা রোমের ভ্যাটিকানে গিয়ে তাদের পাপের স্খলন অথবা আশা পূরণের জন্য বিশেষ প্রার্থনা বা মানত করতে পারে। এবারের জয়ন্তী ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে সেইন্ট পিটার্সে ফ্রান্সিস একটি বিশেষ ব্রোঞ্জের প্যানেল অলা পবিত্র দরজা খোলার বিষয়টি তদারকি করেন। এই দরজা শুধু জয়ন্তীর বছরে খোলা হয়। আগামী বছর অন্তত এক লাখ পুণ্যার্থী এই দরজা দিয়ে হেঁটে ভেতরে যাবে বলে ভ্যাটিকান আশা করছে। সেইন্ট পিটার ব্যাসিলিকায় পোপের ওই প্রার্থনা সভায় প্রাথমিক হিসাবে ছয় হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন, আরও ২৫ হাজার মানুষ বাইরের চত্বরে স্থাপন করা পর্দাগুলোতে দেখেছে। এই প্রার্থনা সভার ভাষণে পোপ জয়ন্তীর বছরে উন্নত দেশগুলোকে কম আয়ের দেশগুলোর ওপর বোঝা হয়ে থাকা ঋণ মওকুফ করার আহ্বান জানান। চলতি মাসে ৮৮ বছরে পড়া ফ্রান্সিস এমন আহ্বান এর আগেও জানিয়েছিলেন।