‘গাছ কেটে ফুটপাতে ৬৬ দোকান’ শিরোনামে প্রকাশিত সিএনএ’র (চট্টগ্রাম নিউজ পেপার অ্যালায়েন্স) অভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মেয়র বলেন, ৪ নভেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় সিএনএর অভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়ে চসিকের সাবেক প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজনের বক্তব্য আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সাবেক প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেছেন, টেক্সটাইল, শেরশাহ ও তারাগেট এলাকায় ফুটপাতে যেসব দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা তার সময়কালে হয়নি। ‘দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কারো বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা শোভন নয়’ বক্তব্যও দিয়েছেন সাবেক প্রশাসক। অথচ এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য হল- খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাকালীন উল্লেখিত এলাকাসমূহে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। এতে উচ্ছেদকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মর্মে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উন্নয়ন অবশিষ্ট জায়গায় মানবিক কারণে পুনর্বাসনের জন্য চসিক প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক জায়গা চিহ্নিত ও মার্ক করে এস্টেট শাখার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকৃত মালিকদের নিজ অর্থায়নে দোকান নির্মাণের জন্য টেক্সটাইল এলাকায় গত ১ ফেব্রুয়ারি, শেরশাহ এলাকায় ৩১ জানুয়ারি ও তারাগেট এলাকায় গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন প্রদান করেন তৎকালীন প্রশাসক। মেয়র বলেন, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, তিনি (সুজন) গণমাধ্যমে যে বক্তব্য প্রদান করেন তার সঙ্গে প্রকৃত তথ্য উপাত্তের কোনো মিল নেই। তার এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য আমাদের সকলের জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের ভাবমূর্তি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় পত্রিকায় ‘সিএনএর অভিন্ন প্রতিবেদন বিষয়ে চসিকের সাবেক প্রশাসক সুজনের বক্তব্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।