অল্প বয়সে বাবা–মাকে হারানোর পর ৭ বোনকে একা আগলে রেখে মানুষ করেছেন। এরপর একে একে সবার বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। যখন নিজে বিয়ে করে সুখে জীবন যাপন করবেন ভাবলেন ঠিক তখনই ধরা পড়ল তার দুটো কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে পৈতৃক জমিজমা এমনকি নিজের ভিটেমাটিও বিক্রি করে দিলেন। কিন্তু সুস্থ হলেন না। একসময়ের আর্থিকভাবে সচ্ছল এই এতিম যুবক তাই বাঁচার জন্য সবার সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
অসহায় এই যুবকের নাম মোহাম্মদ নুরুদ্দিন (৩৬)। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম বামুনিপাড়া এলাকার মৃত বদিউজ্জামানের সন্তান। তিনি জানান, এতোদিন বোনদের কথা মনে করে সামান্য অসুখ হলেও তা তিনি পাত্তা দেননি। প্রাথমিক চিকিৎসা করেই সেরেছেন অসুস্থতা। ২০১৮ সালের কথা। সুখে সংসার শুরু করার জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছিলো। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন তার প্রচন্ড অসুস্থতা ভর করে। চিকিৎসকের পরামর্শে শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি জানতে পারেন তার দুটো কিডনিই বিকল। এরপর শুরু করা হয় ব্যয়বহুল চিকিৎসা। একে একে সহায় সম্বল যা ছিলো সব হারালেন। অন্যদিকে অসুস্থ নুরুদ্দিনকে দেখার জন্য সংসারেও তার কেউই নেই। যতক্ষণ বোনরা আসেন ততক্ষণ, এরপর অসহায় এই মানুষটির অসুস্থতার পাশাপাশি একাকী জীবন কাটছে এখন ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু যন্ত্রণায়। একটা টাকা আর সঞ্চয়ে নেই, কৃষি কাজ করে যে আয় হতো তার পথও এখন বন্ধ। অন্যদিকে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করতে প্রয়োজন হয় দশ হাজার টাকার উপরে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে তার ব্যয় হতে পারে অন্তত ৪০ লাখ টাকা। যা তার পক্ষে জোগাড় করা সম্পূর্ণ অসম্ভব।
তাই ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের বিত্তবান এবং সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের সাহায্য চেয়েছেন অসহায় নুরুদ্দিন। তাকে সাহায্য করতে চাইলে তার মুঠোফোনে (০১৮৬৮–০৭৮৬২২ ) যোগাযোগ করুন। নাম্বারটি (পার্সোনাল) বিকাশ করা আছে।