নদীর নাম কাচালং মাচালং। নামেও কত জাদু! সাজেক, নীলগিরি, পেদা টিং টিং নামগুলো মনে হলেই মনের ভেতর একশো আনন্দ ঘন্টা টিংটিং করে অস্থির বেজে চলে। আলুটিলার সুড়ঙ্গ মুখে মশালের আলো, সবুজ পাহাড়ের ঢালে সার বাঁধা আনারস গাছ, পেঁপে, কলা গাছ, কমলা বা রাবার বাগানের সারি, হঠাৎ পাহাড়ের ফাঁকে হয়তো মন্দস্রোতা চেঙ্গি নদী বা ঝিরঝির ঝরনাধারা… বোঁচা নাক, ছোট চোখের আদুরে বাচ্চাগুলো কল্পনাতেই অভিবাদন জানায়। আর সেইতো মেঘেদের ঘরবাড়ী…বড়সড় বা মাঝারি মেঘ আর ‘মেঘেদের ছানা’…কখনো ‘মেঘদূত’কে ডাকা… কখনো ‘মেঘের সঙ্গী’ হয়ে ‘মেঘের ছানা’দের দলবেঁধে ওড়াওড়ি দেখা।
না বোঝা পাহাড়ি গানের সুর, বাঁশের খোলে অন্যরকম পিঠা, তাঁতের ভিন্নতর পোশাক-আশাক, পয়সার গয়না- গলায় তরুণী, টং- এর ওপর বাঁশের ঘর বাড়ি… আর পাহাড়ি রাস্তায় চাঁদের গাড়ি…অন্য এক বাংলাদেশ উজ্জ্বল হয়ে আছে এখানে। এখানে শান্তির হোক চিরস্থায়ী আবাস।এখানে আনন্দ ভ্রমণ শেষে অনেক সুখস্মৃতি নিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরুক সকল অভিযাত্রী, প্রিয় বন্ধু,স্বজন।