সুইডেনকে ন্যাটোয় নিতে রাজি এরদোয়ান, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বললেন মহাসচিব

| বুধবার , ১২ জুলাই, ২০২৩ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসা তুরস্ক অবশেষে কয়েকমাসের নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে এতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান সোমবার বলেছেন, পার্লামেন্টে সুইডেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার আবেদন অনুমোদনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজি তিনি। এরদোয়ানের এই অবস্থানের কথা জানিয়ে ন্যাটো প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, এ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এর ফলে ন্যাটো মিত্ররা আরও শক্তিশালী এবং নিরাপদ হবে। খবর বিডিনিউজের।

লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। তার আগে সুইডেন এবং তুরস্কের মধ্যকার অচলবস্থা ভাঙতে দুই দেশের নেতার মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করেন স্টলটেনবার্গ। বৈঠক হয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের মধ্যে। বৈঠকের পরই এরদোয়ানের মন বদলানোর কথা জানান ন্যাটো মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, আমি একথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। শিগগিরই তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ এবং এর অনুমোদন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে।

রাশিয়া গত বছর ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ড নেটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু এই জোটে তাদের নিতে ন্যাটোর ৩০ সদস্যের সবার অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।

ফিনল্যান্ড এই সমর্থন পেয়ে ন্যাটো সদস্য হয়ে গেছে। কিন্তু সুইডেন সন্ত্রাসী কুর্দিদের আশ্রয় দিচ্ছে অভিযোগ করে দেশটির ন্যাটো সদস্যপদপ্রাপ্তি এতদিন ধরে ঠেকিয়ে রেখে এসেছে তুরস্ক। ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক সুইডেনকে এর আগে বলেছিল, আঙ্কারার সমর্থন পেতে হলে তারা যাদের সন্ত্রাসী বলে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে স্টকহোমকে।

এক্ষেত্রে আঙ্কারা মূলত সুইডেনে আশ্রয় নিয়ে থাকা কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য তাদের দায়ী করা একটি গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাছাড়া সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা নিয়েও স্টকহোমের সঙ্গে আঙ্কারার মতবিরোধ রয়েছে। সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা তুরস্কের আটকে রাখার এটিও ছিল একটি কারণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচীন সাগরের উত্তেজনা নিয়ে বসছেন আসিয়ান মন্ত্রীরা
পরবর্তী নিবন্ধরাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর