ফের মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঘুমধুম, দৌছড়ি ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গোটা সীমান্ত জুড়েই এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি। তবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তের কোথাও কোনো গোলাগুলি বা মাইন, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ল্যান্ডমাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাড়ি, রেজু-আমতলী, ফাত্রাছিরি, তুইঙ্গাঝিরি, দৌছড়ি, চাকঢালা, আষাঢ়তলী, ছনখোলা সীমান্তে একের পর এক হতাহতের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। সীমান্ত সুরক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। বাড়ানো হয়েছে টহলও। এদিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে পূতা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গত মঙ্গলবার বিকেলে পা হারানো কাদের হোসেন বাংলাদেশি নাগরিক নয়, রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাদেরের বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ও দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান জানান, আতঙ্কে রয়েছে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষজন। গোটা সীমান্ত পরিস্থিতিই এখন থমথমে। কিন্তু বিজিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় কোথাও গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। এসময় সাহাবুল্লাহ নামে আরও একজন রোহিঙ্গা যুবক আহত হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি অংখ্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা সীমান্ত পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে।