সীমান্তে মাদক রোধে দেশপ্রেমিক নাগরিকের সহযোগিতা জরুরি : ডিআইজি আহসান হাবীব

উখিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: আহসান হাবীব পলাশ বলেছেন, নিজেদের সীমাবদ্ধতার জন্য অনেক কিছু বলতে পারি না। মাদকের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিগত সময়ে পুলিশ আপনাদের মনে বিষাদ সৃষ্টি করেছে তবে সবাই না। যদি আপনারা সবাই আমাদের মাঝে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ালে প্রায় অপরাধ নির্মূল সম্ভব। সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবি’র পক্ষ থেকে এলাকাবাসীর জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান। তিনি আরোও বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক চোরাচালান বন্ধে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সহযোগিতা জরুরি।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সজাগ থাকতে হবে,সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বজায় রাখতে, সীমান্তের চোরাচালান রোধ ও চোরাকারবারিদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।

এ দেশ রক্ষায় নাগরিক হিসেবে সবার দায়িত্ব রয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন যেহেতু মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া, তাই এখানকার বাসিন্দারা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত বিষয়ে উৎকন্ঠায় থাকেন।শংকার কোন অবকাশ নেই।সতর্কতা অবলম্বন করে নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবেন।

স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গের বক্তব্যে উঠে আসা ঘুমধুম সীমান্তে মাদক চোরাচালান, দেশীয় পণ্যসামগ্রী পাচারের বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, ঘুমধুমে অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে বলে দেবেন বলে জানান। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জনবল বাড়ানো যায় কিনা বিবেচনা করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র মাঠে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পুলিশ সুপার মো: শহীদুল্লাহ কায়সার। সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, কথার দৃষ্টির চেয়ে মনের দৃষ্টিতে সজাগ থাকতে হবে। মাদক কোন দেশ সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারে নাই, তবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে:কর্ণেল ফারুক হোসেন খাঁন,ককসবাজার পুলিশ সুপার মো:রহসত উল্লাহ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) মাশরুরুল হক।

মতবিনিময় স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, ঘুমধুম ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হায়দার আলী কোম্পানি, ঘুমধুম ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা নুরুল হাসান আজাদ, জামায়াত নেতা মাওলানা সেলিম উল্লাহ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াত ইসলামীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক ও পেশাজীবী নেতা শাহাদাত উল্লাহ প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আরিফ উল্লাহ ছুট্রু,বিএনপি নেতা নুরুল আলম শিকদার, ইউনুস,আবদুল করিম মেম্বার,খাইরুল ইসলাম, জাহেদুল আলম শিকদার, গোলাম কাদের শিকদার, জয়নাল আবেদীন, যুবদল নেতা ইউনুস, জাহেদ আলম, মিজানুল বশর মিজান, মুজিব, সিরাজ, শাহ জালাল, খাইরুল আমিন, জামায়াত নেতা মাওলানা এনামুল হক, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমুখ। পুলিশ বিভাগের মধ্য থেকে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাফর ইকবাল, এসআই এসএম কিবরিয়া,এসআই আবুল কাসেম সহ সঙ্গীয় ফোর্সরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে ধরে পুলিশে দিল জনতা
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু