কম্বোডিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সিনেট সভাপতি হুন সেন অভিযোগ করে বলেছেন, থাইল্যান্ড বিতর্কিত সীমান্তে লাউডস্পিকারে ‘ভূতের মতো আওয়াজ’ বাজাচ্ছে।
এর মাধ্যমে থাইল্যান্ড একধরনের মানসিক যুদ্ধ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ জানিয়েছে তারা।
গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও এই মনস্তাত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে বলে অভিযোগ কমিশনের। তারা জাতিসংঘে থাইল্যাণ্ডের উচ্চ–মাত্রার শব্দ ও কর্কশ আওয়াজ বাজানোর বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ তুলেছে বলে জানান হুন সেন। খবর বিডিনিউজের।
গত শনিবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগের চিঠি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন–থাই সেনারা রাতভর লাউডস্পিকারে ‘ভূতের আর্তনাদের মতো শব্দ’ বাজাচ্ছে, যার সঙ্গে কখনও বিমান ইঞ্জিনের গর্জনের শব্দর মতও হয়।
কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের ভয়ঙ্কর শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে বাজানোয় সীমান্তের মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে, মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে, এমনকি শারীরিক অস্বস্তিও তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি, এই কর্মকাণ্ড প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। থাই সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কম্বোডিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন আরও জানান, কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি মালয়েশিয়ার সঙ্গেও তুলেছেন। মালয়েশিয়া গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত থামাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিল।
সেই আলোচনার পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা গত এক দশকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের অবসান ঘটায়। সেই সংঘাতে অন্তত ৩৮ জন নিহত ও তিন লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। সংঘর্ষ শুরুর আগে উত্তেজনা বাড়ছিল কয়েক মাস ধরে।