সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

আহত র‌্যাব সদস্যকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়

বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে কোনারপাড়া শূন্যরেখায় সোমবার সন্ধ্যায় চোরাচালানিদের সঙ্গে সংঘর্ষে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত এবং র‌্যাবের এক সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলেও। গতকাল মঙ্গলবার তুমব্রুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এদিকে গোলাগুলিতে কোনারপাড়া শূন্যরেখার আশ্রয় কেন্দ্রের সাজেদা নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘুমধম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, র‌্যাবের সঙ্গে চোরাচালানিদের সংঘর্ষের কথা তিনি শুনেছেন। তবে রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যুর বিষয়টি তার জানা নেই। আইএসপিআর বা র‌্যাবের পক্ষ থেকেও গোলাগুলির সময় রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ঘটনায় গুরুতর আহত র‌্যাবের সদস্য সোহেল বড়ুয়াকে সোমবার রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে তুমব্রু সীমান্ত থেকে কোনো অপরাধী যাতে তৎসংলগ্ন উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-৮)
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এলাকা এখন থমথমে।
নাইক্ষংছড়ি থানার ওসি তদন্ত মো. শাহজাহান বলেন, তুমব্রুতে যৌথবাহিনীর সাথে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে ডিজিএফআই বা র‌্যাবের পক্ষ থেকে জিডি বা মামলা করেনি।
কঙবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সোমবার রাতে হাসপাতালে তার ডিউটি ছিল। রাত ১০টার দিকে সোহেল বড়ুয়া নামে একজন র‌্যাব সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ২টার পর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিডিনিউজ জানায়, আহত র‌্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া (৩০) র‌্যাব-১৫ কঙবাজার ব্যাটালিয়নে কর্মরত। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ইতোমধ্যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে এলাহি বলেন, তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটা অপসারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি দল তুমব্রুর সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে। ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজার ২৮০ জন রোহিঙ্গা রয়েছে সেখানে।
কোনারপাড়া ক্যাম্পের মাঝি (দল নেতা) দিল মোহাম্মদ গতকাল সকালে বলেন, তাদের ক্যাম্পের পাশে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ থেকে ৭টার মধ্যে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় শত শত রাউন্ড গুলির শব্দ আসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসছে শীত, বাড়ছে শীতবস্ত্রের কদর
পরবর্তী নিবন্ধদীর্ঘদিন পর শত কোটি টাকার ৫ সরকারি বাড়ি দখলমুক্ত