সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত ভারত-চীন

| শনিবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

নেতাদের মধ্যে কথোপকথনের পর ভারত ও চীন তাদের বিতর্কিত সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে। জ্যেষ্ঠ এক ভারতীয় কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর বিবিসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের এক ফাঁকে এ নিয়ে কথা বলেন। বেইজিং জানিয়েছে, মোদির অনুরোধে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।

ভারতচীন এই দুই বিশ্বশক্তির মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার বিরোধপূর্ণ সীমান্ত রয়েছে, যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নামে পরিচিত। মোদি ও শি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করেন। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হলোব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এটিকে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বিশ্বের পাল্টা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা বলেন, উভয়পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রচেষ্টা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। খাতরা বলেন, ভারতচীন সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যবেক্ষণ ও তাতে সম্মান দেখানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, দুই নেতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত বিচ্ছিন্নকরণ এবং উত্তেজনা প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশ দিতে সম্মত হয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান চীনভারত সম্পর্ক এবং পারস্পারিক স্বার্থের অন্যান্য প্রশ্নে দুই নেতার মধ্যে খোলাখুলি ও গভীরভাবে মতবিনিময় হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জোর দিয়ে বলেছেন যে, চীনভারত সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশ ও জনগণের সাধারণ স্বার্থে কাজ করে এবং এটি বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও সহায়ক। এতে আরও বলা হয়েছে, দুই পক্ষেরই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখা উচিত এবং সীমান্ত সমস্যা যথাযথভাবে সমাধান করা উচিত যাতে যৌথভাবে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষা করা যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, দুই নেতা যখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন, তখন আশেপাশে কোনো দোভাষী বা নোট গ্রহণকারী ছিলেন না। এর আগে ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে কথা বলেন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনের সময়ে শি জিনপিং ভারতে আসতে পারেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানব পাচার রুখতে আরও বৈধ অভিবাসী নেওয়ার ডাক ইতালির
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার ডিভিশন কাবাডি লিগ সুপার থ্রিতে লিটল ব্রাদার্সের জয়