সীমান্তের অপরাধীদের হাতে ভারী অস্ত্র যাওয়ার শঙ্কা!

অস্ত্র হাতে ভিডিও ভাইরাল ।। কারো কাছে একটি গুলির খোসা পাওয়া গেলেও ছাড় নয় : উখিয়ার ওসি

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ভারী অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে স্থানীয় অনেকেই। তার মধ্যে রয়েছে নাইন এমএম পিস্তলসহ একে৪৭ রাইফেল। সম্প্রতি স্থানীয় অপরাধীদের হাতে এসব অস্ত্র নিয়ে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পালংখালী ইউনিয়নের পুঠিবনিয়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর দুটি একে৪৭ রাইফেল নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হলে তারা দুজন রাইফেল দুটি বিজিবির কাছে জমা দিতে বাধ্য হয়। একই দিন পালিয়ে আসা একটি গ্রুপের কাছ থেকে হাজি জালালের পুত্র রুবেল গোলাবারুদ ভর্তি একটি ব্যাগ কেড়ে নেয়। পরে লোক দেখানো কিছু গুলি জমা দিলেও বেশিরভাগ গুলি নিজের কাছে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ‘ভয়ংকর পরিস্থিতি থাকায় সীমান্তে কী হচ্ছে তা বলা মুশকিল। ভয়ে সাধারণ মানুষ সেদিকে যায় না। ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় জাহাঙ্গীর ও হেলাল দুটি অস্ত্র জমা দিয়েছে। এছাড়া হাজি জালালের পুত্র রুবেলও কিছু গোলাবারুদ জমা দেয়। তবে আরও অনেক অস্ত্র ও গুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকের হাতে থাকতে পারে। এ নিয়ে র‌্যাব, গোয়েন্দা বাহিনীসহ আমরা কাজ করছি।’

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্ত্র বা গুলি জমা রাখে তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তির কাছে একটি গুলির খোসাও পাওয়া যায় তখন তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো অবস্থায় আইনশৃক্সখলার অবনতি হতে দেওয়া হবে না। এ জন্য কাজ করছে পুলিশ।’

পুলিশ সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে আসার সময় স্থানীয়রা ২৩জন রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। তারা সবাই উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত মিয়ানমারের নাগরিক। গতকাল শনিবার সকালে আটক অস্ত্রধারী ২৩ মিয়ানমার নাগরিককে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে তা নামঞ্জুর করে তাদের আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সীমান্তের ৫০২ এসএসসি পরীক্ষার্থী
পরবর্তী নিবন্ধভোটের পর পাকিস্তানে জোটের জটিল হিসাব