সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নেয়া হবে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

| শনিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বলেছে, ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা তাদের সুবিধামতো পোল্যান্ডসহ অন্যান্য সীমান্তবর্তী দেশ স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও মলদোভা দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পোল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

গতকাল সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশিদের পরামর্শ দিয়েছে, তারা পোল্যান্ড ছাড়াও ইউক্রেনের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও মলদোভায় আশ্রয় নিতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তার লাভের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের নিম্নোক্ত নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে। খবর বাসসের।
স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির জন্য : অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস : (১) রাহাত বিন জামান, ডেপুটি চিফ অফ মিশন: +৪৩ ৬৮৮ ৬০৩৪৪৪৯২, (২) জুবায়াদুল এইচ. চৌধুরী, এসিও: +৪৩ ৬৮৮ ৬০৬০৩০৬৮। রোমানিয়া ও মলদোভার জন্য : রোমানিয়ার বুখারেস্টে বাংলাদেশ দূতাবাস: (১) +৪০ (৭৪২) ৫৫৩ ৮০৯, (২) মীর মেহেদী হাসান (টেলি এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ) +৪০ (৭৪২) ৫৫৩ ৮০৯।
পোল্যান্ডের জন্য: পোল্যান্ডের ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাস: (১) মো. মাসুদুর রহমান +৪৮ ৭৩৯ ৫২৭ ৭২২, (২) মোঃ মাহবুবুর রহমান +৪৮ ৫৭৯ ২৬২ ৪০৩, (৩) ফারহানা ইয়াসমিন +৪৮ ৬৯০ ২৮২ ৫৬১, (৪) বিল্লাল হোসেন +৪৮ ৭৩৯ ৬৩৪ ১২৫ ও (৫) মো. রাব্বানী +৪৮ ৬৯৬ ৭৪৫ ৯০৩।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ২৫০ জন বাংলাদেশি তাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুসারে এছাড়া আরও ২৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। তবে, বেসরকারি হিসাব অনুসারে এ সংখ্যা ৫ শতাধিক হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের নাগরিকদের চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে সরিয়ে নেবে। বাংলাদেশের ওয়ারশ মিশনটিকে অতিরিক্ত জনবল নিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জার্মানি ও ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কয়েকজন কর্মকর্তাকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে সামপ্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ এই ধরনের সহিংসতা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম বজায় রাখা, বৈরীতা বন্ধ করার এবং কূটনীতি ও সংলাপে ফিরে আসার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবে-ওয়ানে আতংকের ১২ ঘণ্টা
পরবর্তী নিবন্ধশিশুটি পরপারে মা-বাবা হাসপাতালে