বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট। সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে দ্বীপবাসীর স্বপ্নের তরী ফেরি কপোতাক্ষ যাত্রা শুরু করে গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে ঠিক একঘণ্টা পর। যদিও এ যাত্রা ছিল পরীক্ষামূলক। বাণিজ্যিকভাবে মূল যাত্রা শুরু হবে ২৪ মার্চ থেকে। পরীক্ষামূলক এ যাত্রায় বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে সন্দ্বীপ এসেছেন সমাজকর্মী কবির সোহেল। তিনি আজাদীকে জানান, সন্দ্বীপের সন্তান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের অধরা স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হলো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, উপদেষ্টার হাত দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সন্দ্বীপবাসীর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ফেরি কপোতাক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে গুপ্তছড়া ঘাটে এসেছেন ফেরির চালক সন্দ্বীপের সন্তান সামছুল আলম সাইফুল। তিনি আজাদীকে জানান, দুপুর ১টা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের দিকে বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে ফেরি। যখন যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়িপূর্ণ করে যাত্রা শুরু হবে তখনও একই সময় লাগবে এ নৌপথ পাড়ি দিতে।
ফেরি কপোতাক্ষ পরীক্ষামূলক যাত্রাকালীন উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আশরাফুজ্জামান ও চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (বন্দর) কামরুজ্জামান। এসময় তারা জানান, মূল উদ্বোধনের আগে এরকম কয়েকটি পরীক্ষামূলক যাত্রার কার্যক্রম চালানো হবে। জোয়ার–ভাটার সময় হিসাব করে জোয়ারের কতক্ষণ আগে বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে তা ঠিক করা হবে। আপাতত জোয়ারের সময়কে সামনে রেখে চলাচল করবে ফেরি। ফেরি কপোতাক্ষ সন্দ্বীপ এসে পৌঁছালে স্বাগত জানাতে এসময় গুপ্তছড়া ঘাটে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা। তিনি আজাদীকে জানান, ফেরি কপোতাক্ষ ও ফেরির জন্য নির্মিত অবকাঠামো উভয় পাশের জেটি ব্যবহার করে একদিকে সন্দ্বীপবাসী উঠানামার ভোগান্তি দূর হবে অন্যদিকে নৌ যাত্রা হবে নিরাপদ।