সীতাকুণ্ডের বটতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন আরো একজন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। গতকাল সোমবার মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. সাহাব উদ্দিন (৫৮)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. গোলাপের ছেলে।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১ জন। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে আহতদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড স্কুল ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেব বলেন, আমরা শাশুড়িকে দাহ করে স্ত্রী–ছেলেকে নিয়ে বাড়বকুণ্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। তখন পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল বাসের সামনে চলে আসে।
তখন বাস চালক ওই মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে একটি ডাম্প ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে বাসটি সোজা সড়কের পাশে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে আমার ঢাকা আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্নব দেব ও তার মায়ের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কেটে চৌচির হয়ে গেছে। তিনি বলেন, স্ত্রী মাথায় অনেক সেলাই পড়লেও ছেলের অবস্থা খুবই করুণ। তার শরীরে এমন কোনো জায়গা নেই যে কাটেনি। বাসে ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। কোনো সিট খালি ছিলনা। কম–বেশি সবাই আহত হয়েছে।
চোখের সামনেই প্রাণ গেল ৫ জনের। আর আশঙ্কাজনক ছিল অনেকেই। আমরা ভাগ্যক্রমে তিন জনেই প্রাণে বাঁচলাম। গত রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সীতাকুণ্ড বটতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন ঘটনাস্থলে ও ১ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়। গতকাল দুপুরে মারা গেলেন আরো একজন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. জাকির রাব্বানী।












