সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি এবং চট্টলাবাসীর মানবিকতার নজির

কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম | রবিবার , ১২ জুন, ২০২২ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিষ্ফোরণে হতাহতদের স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয় বিধায় অনেকে রক্ত দান করতে ছুটে আসেন হাসপাতালে। রক্তদাতাদের এমন মানবিক আচরণ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। অনেক দূর থেকেও লোকজন ছুটে আসেন রক্ত দিতে। এ সময় সহযোগিতা ও সহমর্মিতা এবং মানবিকতার এক নজির স্থাপন করেন চট্টলাবাসী। মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটি আবারো প্রমাণ করেন চট্টগ্রামের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সব সামর্থ্য নিয়ে নিজেদের উজাড় করে দিতে উন্মূখ ছিল চাঁটগাবাসী।

পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। তাদের কর্মীদের প্রাণ উৎসর্গই সেটা জানান দিয়েছে।

এত মানুষের হতাহতের দায় নেবে কে? সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা উচিত। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয় এবং তাতে মারা যায় শতহাজার মানুষ। কিন্তু অসহায় ও দুর্বল শ্রেণির মানুষেরাই ঠকেছে সবসময়। বিচার পায়নি তারা, পায়নি যথাযথ সাহায্যসহযোগিতা। জীবন জীবিকার তাগিদে শ্রম দিয়ে গেলেও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে। শ্রমিক কিংবা কর্মরত সব কর্মজীবী মানুষের চাকরিস্থলে পূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে নিহত ও আহতের পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষকে উপযুক্ত সাহায্য প্রদান করতে হবে। সর্বাগ্রে মালিকপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকার ও সামর্থ্যবান মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। আর কোনো ট্রাজেডি আমরা চাইনা। আসুন সবার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানসিকতার পতন
পরবর্তী নিবন্ধনব আনন্দে, নতুন প্রেমে