সীতাকুণ্ডের ৯ ইউনিয়নে এবং মীরসরাইয়ের ১৫ ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ডের নয়টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে আর্থিক এবং প্রশাসনিক এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার শাখার প্রেরিত অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া ও কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম। বারৈয়ারঢালা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন।
৫টি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে আমাদের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে ঝিমিয়ে পড়া পরিষদের কার্যক্রমের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এজন্য সকলের সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। সেই সঙ্গে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন ইউপি সদস্যরা। জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়া এসব ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
মীরসরাই : মীরসরাই প্রতিনিধি জানান, মীরসরাই উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার মেয়র সবাই আওয়ামী লীগের পদ–পদবীতে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে পরিষদে আসেননি জনপ্রতিনিধিরা। ফলে সব ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অবশেষে প্রায় এক মাস ১৯ দিন পর ১৫ ইউনিয়নে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীকে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে ইউনিয়ন পরিষদে জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার মর্মে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আর্থিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়।
উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া অন্য ১৫ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি এই দুই কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ওই ইউনিয়নে ৫ আগস্টের আগ থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন। সেই হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন দায়িত্ব পালন করবেন সাহেরখালী, মীরসরাই সদর, ওচমানপুর, মিঠানালা, হিঙ্গুলী, ওয়াহেদপুর, খৈয়াছড়া ও হাইতকান্দি ইউনিয়নে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন মায়ানী, ধুম, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মঘাদিয়া ও ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদে। এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমি এবং ইউএনও স্যারকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করবো।