সীতাকুণ্ডে সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধের হাতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার ভাটিয়ারি হাসানবাদ সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ ইউসুফ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ এই ঘটনা ঘটায়। এর আগে বিকালে গ্রামের একটি মহল ঘটনাটি মিমাংসা করার চেষ্টা চালায়।
রাত দশটার দিকে স্থানীয় জনতা ওই বৃদ্ধকে ঘর থেকে তুলে এনে পিটুনি দিয়ে পুলিশ হাতে তুলে দেয়। ধর্ষণের শিকার নয় বছরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাটিয়ারির এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ইউসুফ লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট ছেলেরা ওকে অনেক ভয় পায়। আজকে লোকজনের অজান্তে একশত টাকার লোভ দেখিয়ে পুকুরপাড় থেকে মেয়েটিকে কোলে করে নিজের বাসার দোতালায় নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের কিছু লোকজন বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করে। এতে শিশুর পক্ষও মেনে নেয়। কিন্তু টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দফারফা করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। রাতে তারাবি নামাজের পর বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটুনি শুরু করে।
পরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা বলেন, জনগণের রোষানল থেকে আমরা সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি এবং ধর্ষণের শিকার নয় বছরের আহত শিশুটিকে প্রথমে থানায় ও পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছি।
এ বিষয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বৃদ্ধের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।