চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেতন পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে ৮ শতাধিক শ্রমিক। গতকাল শনিবার উপজেলার বারআউলিয়ায় অবস্থিত মারস টেক্সটাইল নামক কারখানার শ্রমিকদের ঘন্টাব্যাপী এই অবরোধে মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকেই সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বারআউলিয়ায় অবস্থিত মারস টেক্সটাইলের শ্রমিকরা কারখানার সামনে আন্দোলন শুরু করে। তাদের অভিযোগ, এই কারখানায় কর্মরত ৮ শতাধিক শ্রমিক–কর্মচারির বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করে মালিক পক্ষ কারখানাটি বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। কারখানা বন্ধ করতে হলে আগে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে বলে দাবি জানান শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এই আন্দোলনে একাত্মতা জানান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দও। কিন্তু বিকাল ৫টাতেও মালিক পক্ষ পাওনা পরিশোধ নিয়ে কোন আশ্বাস না দেয়ায় বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৮ শতাধিক শ্রমিক বারআউলিয়া এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের এই অবরোধ সিটি গেট থেকে বাড়বকুণ্ড পযন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়লে মহাসড়কের ঢাকা ও চট্টগ্রাম মুখী উভয় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের টিম অনেক চেষ্টা করলেও অবরোধ চলাকালীন সময়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি। শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের উপর নির্যাতন করছে। মাসের পর মাস বেতন বন্ধ, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বন্ধ, শ্রমিকরা মানবতার জীবন যাপন করছে। প্রতিবাদ করলে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। শ্রম আইনের কিছুই মানা হয়না এখানে। মালিক তার সমস্যার কারণে কারখানা বন্ধ করে দিক কোন সমস্যা নেই কিন্তু শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করে কারখানা প্রাঙ্গণে সভায় বক্তব্য রাখছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলার লেবার কোর্টের সদস্য কমরেড মশিউরদৌলা, সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ফৌজদারহাট– বাড়বকুণ্ড শিল্প জুনের সহ–সভাপতি কমরেড এড. জহির উদ্দিন মাহমুদ। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আব্দুল মোমেন বলেন, নিজেদের বেতন আদায়ে শ্রমিকরা বারাউলিয়ায় এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখে যানজট সৃষ্টি হয়। তারা মহাসড়ক থেকে সরে যাবার পর সড়ক পুনরায় যানজট মুক্ত হয়েছে।৩