সীতাকুণ্ডে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে প্রাণ গেল আরও ২ জনের

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে তিনটি স্পটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও আরও ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বগুলা বাজার, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের শীতলপুর ও মুরাদপুর ইউনিয়নের সিরাজউইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এই তিনটি স্পটে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।

সে হিসেবে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে এই তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিন ব্যক্তির। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ (২৯ ডিসেম্বর) রবিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর এলাকায় ঢাকামুখি একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে একইমুখী একটি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দিলে অটোরিক্সাটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে।

এতে করে গাড়ির ভিতরে থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুরাদপুর ইউনিয়নের সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় একটি ধান ভাঙানো মেশিন নিয়ে যাবার সময় একটি ভ্যান গাড়িকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দিলে এ সময় ধান ভাঙানো মেশিন সহ গাড়িটি ছিটকে সড়কের পাশে পড়ে যায়।

এ সময় গাড়িতে থাকা দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং আরো দুজন গুরুতর আহত হন।

হতাহত চারজনকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের লিডার মতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা। তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার হাপানিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে মোঃ খোকন (৩০) ও একই জেলার মোঃ রানা (৩৫)।

আহতরা হলেন জাহেদ ও সরোয়ার। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে সীতাকুণ্ড কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় ধান মাড়াইয়ের মেশিন বহনকারী গাড়িকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত ও আরো দুই জন আহত হন বলে জানান তিনি।

এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বগুলা বাজার এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।

নিহত শ্রমিকের নাম মোঃ তাইজ উদ্দিন ( ৪৭)। তিনি ভোলা জেলার বালিয়া থানাধীন এলাকার মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এরপর বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান বলে জানান বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আব্দুল মোমিন।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তাইজ উদ্দিন একজন রোড মিস্ত্রির সাথে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিক্সা দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কথা আমরা শুনেছি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে যাবার আগেই স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ( চমক) হাসপাতালে নিয়ে চলে গেছে। তাই তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপহরণকারীদের চিনে ফেলায় মুক্তিপণ ছাড়ায় যুবকের মুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা