সীতাকুণ্ডে ৫ পাহাড়ি পল্লীতে পানির সংকট

২০ শিশু ও নারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা, কুমিরা, সোনাইছড়ি, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন ও সীতাকুণ্ড পৌরসভার তিন হাজার পাহাড়ি বাসিন্দার দাবি এখন একটাই। আর তা হলো এক কলস পানি। পানির জন্য সবার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সীতাকুণ্ডের ৫টি পাহাড়ি পল্লীর পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ অনাবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ছড়াগুলোতে পানি না থাকায় এসব এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার।
নিরাপদ পানি না পেয়ে দীর্ঘদিন জমে থাকা কুয়া ও ছরার দূষিত পানি পান করছে। যার ফলে আমাশয়, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সীতাকুণ্ড পৌরসভার আদিবাসী এলাকার গিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ২০জন শিশু ও নারী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে।
কুমিরার চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, আমার এলাকার প্রায় ৪৫টি পরিবারে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। শিগগির বৃষ্টি না হলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।
বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান জানান, এখানে প্রায় ২৮টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও তারা পানি পাচ্ছেন না।
একই সমস্যা দেখা দিয়েছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মহাদেবপুর পাহাড়ি এলাকায়। পাহাড়ে যারা বাস করেন তাদের পানির একমাত্র উৎস হলো ঝরনাধারা ও পাহাড়ি ছড়া। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই ছড়াগুলো শুকিয়ে যায়। যেসব ঝরনার ক্ষীণ ধারায় পানির প্রবাহ ছিল সেগুলোও কয়েকদিনের থেকে শুকিয়ে আছে। ছড়া, ঝরণা, নলকূপ কোথাও পানি নেই। পৌরসভার আদিবাসী পল্লীর সাধন ত্রিপুরা জানান, ছড়ার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দেড়-দুই কিলোমিটার দূর থেকে একবার পানি আনতে গেলে দিনের এক বেলা চলে যায়।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বদিউল আলম বলেন, পানির জন্য আমার এলাকার ৫২টি পাহাড়ি পরিবারের শিশু, নারী-পুরুষ খুবই কষ্ট করছে। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। দূষিত পানি পান করার কারণে পল্লীর শিশু ও নারী আক্রান্ত সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাম্বলে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব অর্থনীতি ঘুরবে দ্রুত কর্মসংস্থান হবে ধীরে