সীতাকুণ্ডে বিগত ৩০/৩৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী মসজিদে ঈদুল ফিতর এর দিনে মেজবানী অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
তিন মসজিদে ৮ হাজার লোকের মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয় ঈদুল ফিতরের দিনে। জানে উল্যাহ মুন্সী বাড়ির জামে মসজিদটি প্রায় চারশত বছরের পুরোনো।
উপজেলা ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এর পশ্চিমের অবস্থান। মুঘল আমলে নান্দনিক নকশায় দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি। বিগত ৩০/৩৫ বছর ধরে এ ঐতিহ্যবাহী মসজিদে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানীর খাবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত মুন্সিবাড়ির বসতিরা ঈদের দিন মেজবানি অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
এছাড়া পাশবর্তী গ্রামে অবস্থিত নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ও কিল্লাপাড়া জামে মসজিদেও এ মেজবানীর আয়োজন করা হয়েছে। এই দুই মসজিদে দুইটি করে গরু জবাই করে মেজবানী স্বাদ নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এ তিন মসজিদে মেজবানি। এবার প্রসিদ্ধ বাবুর্চি আবু তাহেরের রান্না করার মেজবানীর মাংস স্বাদের সুনাম কুড়িয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এবার ঈদে দুইটি গরু দিয়ে মেজবানীর খাবার ২ হাজার জনকে খাবানো হয়েছে। ঈদের আনন্দের সাথে এটি বাড়তি একটি আয়োজন। একই কথা বলেছেন কিল্লাপাড়া জামে মসজিদের দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন।
মুন্সিবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মুন্সি জানিয়েছেন, মাহে রমজান শেষে যখন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় তখন ঈদের পূর্বে চাঁদরাতে শুরু হয় মেজবানির অনুষ্ঠানিকতা। এ ঈদে চারটি গরু দিয়ে মেজবানী খাবার তৈরি করা হয়। সকালে ঈদের জামায়াতের পূর্বে সকলের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় মেজবানীর মাংসসহ খাদ্য সামগ্রী। যাতে করে ঈদের নামাজ শেষ করে ঘরে গিয়ে মেজবানীর মাংস দিয়ে খাবার খেতে পারে। এ যেন এক ব্যতিক্রমী মেজবানির আয়োজন।