সীতাকুণ্ডে সমুদ্র সৈকতে এক কলেজ ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এমন ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশকে খবর দেয়। ৩টার সময় পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে আসে।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তার ছোট ভাই ও এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘুরতে যান। গাড়ি থেকে নেমে সৈকতের ঝাউ বাগানে যাওয়ার পথে চার যুবক তাদের গতিরোধ করে ওই ছাত্রীকে জোর করে জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রীর ছোট ভাই ও বন্ধু স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে তারা জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
উদ্ধারের পর ওই ছাত্রী তার বন্ধুকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে চার বখাটে তাকে ধর্ষণ করে বলে স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ করেন। তার ছোট ভাইও সে সময় একই কথা বলেন। অন্যদিকে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় মেয়ের সঙ্গে থাকা বন্ধু রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে থানায় এসে নিজের আগের দেওয়া বক্তব্য থেকে সরে আসেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা পুলিশকে জানান, কয়েকজন যুবক তাকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মানুষ চলে আসায় তারা ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ও তার ভাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আমাদের ঘটনার বর্ণনা দেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী মেয়েটিকে চার বখাটে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে গেলে বখাটেরা মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।