সীতাকুণ্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই বিএনপি নেতা ইসহাক কাদের চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে সাবেক দুই এমপিসহ ২১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান তারেক নামে এক যুবক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সাবেক সাংসদ দিদারুল আলম ও এসএম আল মামুনকে ছাড়াও মামুনের ছোট ভাই এস এম আল নোমান, এমপি মামুনের পিএস সাইদুর রহমান মারুফ, আসলাম হাবিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল আলম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদ চৌধুরী, মনির আহমদ, ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, রেহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম নিজামী, নাজিম উদ্দিন, আলাউদ্দিন আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম রিয়াদ জিলানী, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক শায়েস্তা খান ওরফে সাজু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর বদিউল আলম জসিম ও দিদারুল আলম অ্যাপেলোসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আসামি সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে আপরাপর আসামিরা বিএনপি নেতা ইসহাক কাদের চৌধুরীর গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় হামলায় সে আহত হন। এরপর আসামিরা সরকারী রেললাইনের ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে মামলায় অভিযুক্ত সাবেক সাংসদ এস এম আল মামুন ও দিদারুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা ইছহাক কাদের চৌধুরীর গাড়িতে হামলার অভিযোগে তারেক নামে এক যুবক থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০–১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের পর সত্যতা নিরূপণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।