সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতার বসতঘরে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১৩৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। থানায় দায়ের করা এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও এসএম আল মামুনকে ছাড়াও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলামসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০–৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট মামলার আসামি সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদী শরীফের বসতঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এরপর ২০১৬ সালের ৪ মার্চ রাতে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থিতা থেকে তাকে সরে যেতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং পরপর দুইবার বসতঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর মামলার আসামিরাসহ ১৫০ থেকে ২০০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল নামাজরত অবস্থায় আসামিরা বাদীর ওপর আবারও হামলা চালায় এবং ৭ ডিসেম্বর বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি করে।
মামলার বাদী সাবেক বিএনপি নেতা অহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে ও ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে বেশ কয়েকবার আমার বসতঘরে হামলা চালিয়েছে। তাদের পরিকল্পিত হামলা ও ভাঙচুরে আমার ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায় সুবিচারের প্রত্যাশায় হামলাকারী আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে জানতে মামলায় অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, মামলার বাদীকে তিনি চেনেন না। এ ঘটনাগুলো সম্পর্কেও কিছু জানেন না। এগুলো সাজানো হয়েছে।
অপর দিকে অপর সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, ১২ বছর আগে থেকে বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতির বাড়িতে বেশ কয়েক দফা হামলার অভিযোগ এনে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ গুলোর সুষ্ঠু তদন্তের পর সত্যতা নিরূপণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।