সীতাকুণ্ডে চলমান অক্সিজেন প্ল্যান্ট কারখানাগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলালকে প্রধান করে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন–চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও ফখরুদ্দিন। তদন্ত কমিটির প্রধান মো. নুরুল আলম দুলাল বলেন, ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করেছি। কোন কারখানা অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও কোন কারখানা কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তালিকা প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের তিন দিন পর বিদ্যুতের সংযোগ ফিরে পেলেন কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকার দুই শতাধিক গ্রাহক। মঙ্গলবার বিকেলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন মেরামত করার সময় ওপর থেকে পড়ে আহত হন ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের দুই বিদ্যুৎকর্মী মোহাম্মদ রিয়াদ(২২) ও মোহাম্মদ রাকিব(২১)। খুঁটিতে উঠে কাজ করার সময় চার্জিং ভোল্টেজের কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন কাঁপতে শুরু করে। এতে তাঁরা ভয় পেয়ে হাত ছেড়ে দেন এবং খুঁটি থেকে নিচে পড়ে আহত হন।
ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু : সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের জন্য দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ শ্রম আদালতে জমা করা হয়েছে। বাইরের পথচারী এবং ট্রাক হেলপারের ক্ষতিপূরণ প্রকৃত ওয়ারিশদের দেয়ার জন্য প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নিহতদের দাফন ও সৎকারের জন্য প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় সীমা অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ প্রদান করছে বলে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, নিহতদের পরিবারে যোগ্য কেউ থাকলে তাকে সীমা অক্সিজেন কোম্পানি চাকরি প্রদান করবে।