সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ড দখলের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শিপইয়ার্ড দখল ও একটি সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দুটি করা হয়।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া সমুদ্র উপকূলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক আলী স্টিল লিমিটেড নামে একটি শিপইয়ার্ড দখলের অভিযোগ উঠেছে অপর একটি শিপইয়ার্ডের মালিকের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গত শুক্রবার।
সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ৬ মাস ধরে আলী স্টিলের মালিক ফরিদুল আলমের ইয়ার্ডটি বন্ধ ছিল। মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে পাশের এম এ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মাহবুবুল আলম ও আনোয়ার আলম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইয়ার্ডটি দখল করে ফেলেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, ৭ বছর ধরে আলী স্টিল ও এম এ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকদের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৫ সালে শিপ ব্রেকিং এসোসিয়েশনের মধ্যস্ততায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় কয়েক দফা বৈঠকও হয়। পরে আর্থিক কারণে আলী স্টিলের মালিক ফরিদুল আলম তার শিপইয়ার্ডটি চালাতে না পেরে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মাহবুবুল আলম বলেন, এটি দখল নয়। আমি আমার জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আমাদের সীমানায় ইয়ার্ডের শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মীরা টিন দিয়ে ঘেরা দেয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, শিপইয়ার্ড দখলের অভিযোগ তদন্তে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তখন দুর্ব্যবহার ও হুমকি-ধমকি দেয়া হয় তাদের। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে অশালীন আচরণ, হুমকি-ধমকির অভিযোগে শুক্রবার রাতে ৩ জনকে আসামি করে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. নুরুল আহসান একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন বার আউলিয়ার এম এ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক ও শীতলপুরের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মাহবুবুল আলম (৬০), আনোয়ারুল আলম (৫৫) ও একই শিপইয়ার্ডের সেফটি সিকিউরিটি মো. শরীফ (৪২)। এর আগে ওইদিন রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে জোরপূর্বক আলী স্টিল শিপইয়ার্ডটি দখলের অভিযোগে এম এ শিপ ব্রেকিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী আলী স্টিলের মালিক ফরিদুল আলম। মামলার আসামিরা হলেন এম এ শিপ ব্রেকিংয়ের মালিক মাহবুবুল আলম (৬০), আনোয়ারুল আলম (৫৫), ম্যানেজার বাহাদুর খান (৪০), সুপারভাইজার ফোরকান ও পরিচালক নঈম উদ্দিন (৪০)। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়। তবে এসব মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান তিনি।












